২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

হাসপাতালে নবজাতক কন্যা ফেলে বাবা-মা উধাও

-

কন্যা সন্তান জন্ম নেয়ায় নবজাতককে হাসপাতালের বেডে ফেলেই পালিয়ে গেছেন বাবা-মা। যাওয়ার আগে তাদের মধ্যে কয়েক দফা ঝগড়াও হয়। তবে হাসপাতাল স্টাফ বা আশপাশের রোগী ও তাদের স্বজনরা কেউ ভাবতে পারেনি নবজাতকটিকে এভাবে ফেলে পালিয়ে যাবেন তারা। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে ওই বাবা-মাকে খুঁজতে মাঠে নেমেছে পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের ফাইল অনুযায়ী ওই নবজাতকের মায়ের নাম নাহার বেগম। বাবার নাম রাসেল। ঠিকানা হিসেবে মিরপুর-১ নম্বর লেখা রয়েছে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত শনিবার অসুস্থ অবস্থায় নাহার বেগমকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা যায়। বিকেল সাড়ে ৫টার সিজারের মাধ্যমে তার একটি কন্যা সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়। এরপর থেকে রাসেলের চেহারার মধ্যে একটি বিষণœতা দেখা যায়। ওটি থেকে মা ও নবজাতক কন্যা সন্তানকে বের করা হলে রাসেলের সাথে নাহারের কয়েক দফা কথা কাটাকাটি হয়। হাসপাতালের ওয়ার্ডবয় বা আশপাশে থাকা রোগী ও তাদের স্বজনরা বুঝতে পারে যে কন্যা সন্তান জন্ম নেয়ায় বাবা খুশি হতে পারেনি। সন্ধ্যার দিকে নবজাতককে বেডে শুয়ে থাকতে দেখা গেলেও বাবা-মাকে আর দেখা যায়নি।
হাসপাতালের প্রশাসনিক ব্লকের ওয়ার্ড মাস্টার আব্দুল গফুর বলেন, স্টাফরা ধারণা করেছিল নবজাতকের বাবা-মা হয়তো টয়লেটে গেছেন। কিন্তু সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত নেমে এলেও তারা ফিরে আসেননি। এদিকে নবজাতকটি কান্না শুরু করে দেয়। পরে হসপাতাল কর্র্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হলে তাদের নির্দেশে নবজাতককে ১০৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হেফাজতে ২১১ নম্বর নবজাতক ওয়ার্ডে রাখা হয়। চিকিৎসকরা শিশুটিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বলছেন, নবজাতক সুস্থ আছে। তার ওজন হয়েছিল দুই কেজি ৪০ গ্রাম।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনর্চাজ মো: বাচ্চু মিয়া জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে খবর পেয়ে আমরা ওই ওয়ার্ড পরিদর্শন করেছি। নবজাতকটিকে দেখেছি। ওয়ার্ডের আশপাশের লোকজনের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি, সন্ধ্যায় নবজাতকটির মা-বাবার মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর থেকেই তারা দুজনই নিখোঁজ। ধারণা করা হচ্ছে কন্যা সন্তান জন্ম নেয়ার কারণে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। বিষয়টি শাহবাগ থানাকে জানানো হয়েছে। পুলিশও বাবাকে খুঁজতে কাজ করে যাচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement