ব্রাজিলের আমদানি শুল্ক সহনীয় পর্যায়ে আনার আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর
- বাসস
- ২৩ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে ব্রাজিলের ‘উচ্চ আমদানি শুল্কহার’ কমানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। ব্রাজিলের আমদানি শুল্ক বেশি হওয়ার কারণে প্রত্যাশা অনুযায়ী বাংলাদেশী পণ্য রফতানি সম্ভব হচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর ফলে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যব্যবধান বেড়েই চলেছে। টিপু মুনশি বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে ব্রাজিলের বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে সহনীয় পর্যায়ে আনা কিংবা শূন্য শুল্ক করার জন্য সেদেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। মুনশি গত ২০ আগস্ট দক্ষিণ আমেরিকার বাণিজ্যিক জোট (ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে ও উরুগুয়ের সমন্বয়ে গঠিত বাণিজ্যিক জোট) মার্কোসার-এ সফরের প্রথমপর্যায়ের দ্বিতীয় দিনে ব্রাজিলের বৃহত্তম ব্যবসায়ী সংগঠন ‘সাও পাওলো চেম্বার অব কমার্সের’ নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠককালে এ আহ্বান জানান।
এর আগের দিন গত ১৯ আগস্ট ব্রাজিলের বাণিজ্যমন্ত্রী এবং বৈদেশিক বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সাথে একান্ত বৈঠকেও তিনি ব্রাজিলে বাংলাদেশী পণ্যের শুল্কমুক্ত বা সহনীয় শুল্কে আমদানির কথা উল্লেখ করেন। ওই বৈঠকে টিপু মুনশি জানান, বাংলাদেশ গত অর্থ বছরে (২০১৮-১৯) ব্রাজিলে ১৭৬ দশমিক ৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের পণ্য রফতানি করেছে। একই সময়ে সেদেশ থেকে বাংলাদেশ আমদানি করেছে ১৫২০ দশমিক ৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের পণ্য।
একই দিন বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, অর্থ উপমন্ত্রী, ব্রাজিল কটন অ্যাসোসিয়েশন, ন্যাশনাল ফেডারেশন অফ ইন্ডাস্ট্রির নেতৃবৃন্দের সাথেও বৈঠক করেন। এসব বৈঠকে টিপু মুনশি উল্লেখ করেন, ব্রাজিলে বাংলাদেশর তৈরি পোশাক, ওষুধসহ বিভিন্ন পণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে। কিন্তু আমদানি শুল্ক বেশি হওয়ার কারণে প্রত্যাশা অনুযায়ী বাংলাদেশী পণ্য রফতানি সম্ভব হচ্ছে না।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা