২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রংপুর দমদমা সেতুতে ফের ভয়াবহ ফাটল : ধস রোধে বালুর বস্তা

-

রংপুর মহানগরীর উপকণ্ঠে দমদমায় রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের ঘাঘট নদের ওপর নির্মিত দমদমা সেতু মেরামত করার পরও ফের ফাটল দেখা দিয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে সেতুটি ধসে পড়ার আশঙ্কায় বালুর বস্তা দিয়ে সেতুটি রক্ষার চেষ্টা করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। সেতুটি ধসে পড়ার সাথে সাথেই সারা দেশের সাথে সাত জেলার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এই দমদমা সেতুটি বোমা মেরে ভেঙে দেয়া হয়েছিল। এরপর ১৯৭২ সালে সেটি নতুন করে নির্মাণ করা হয়। এ সেতুটি ৬০ মিটার দীর্ঘ ও ২০ মিটার প্রশস্ত। সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে আড়াই বছর আগে গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়।
সওজ বিভাগ জানিয়েছে, সেতুটির ওপর দিয়ে চলাচলে ঝুঁকি কমাতে ও যেকোনো সময় ধসে পড়ার আশঙ্কায় সড়ক ও জনপথ বিভাগ সেতুর নিচে বালুর বস্তা দিয়ে ঠেস দিয়েছে গত বছরের মার্চ-এপ্রিল মাসে। এদিকে গত ঈদুল আজহার রাতে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রেখে আবারো সংস্কার করা হয়েছে।
সোমবার সকালে সরেজমিন দেখা গেছে, সেতুর নিচের উত্তর প্রান্তে চারটি গার্ডারের মধ্যে একটি গার্ডারে ফাটল দেখা দিয়েছে। তাই ধস ঠেকাতে মাটি থেকে সেতুর তল পর্যন্ত পুরোটাই বালুর বস্তা দিয়ে ঠেস দেয়া হয়েছে। মাটির মধ্যে সিমেন্ট দিয়ে ঢালাইও দেয়া হয়, যাতে ভিতটা শক্ত হয়। ফলে সেতুর ওপর দিয়ে গাড়ি চলাচল করলেও শিগগিরই ধসে পড়বে না বলে সওজ বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। যানবাহন চলাচলের সময় সেতুটি কেঁপে ওঠে। তারপরেও এই সেতুটি দিয়েই রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর ও নীলফামারীÑ এই সাত জেলা এবং চারটি স্থলবন্দরÑ বুড়িমারী, মোগলঘাট, সোনাহাট ও বাংলাবান্দার সাথে সারা দেশের সড়কপথে যোগাযোগ অব্যাহত আছে। সূত্র জানায় এই সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় তিন হাজার যাত্রীবাহী বাস ও পণ্য পরিবহনের ট্রাকসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করে। সেতুটির উত্তর প্রান্ত রংপুর সিটি করপোরেশন ও দক্ষিণ প্রান্ত মিঠাপুকুর উপজেলার অন্তর্গত। এই সেতুর ওপর ট্রাক ওঠামাত্র দুলতে থাকে। এ সময় গাড়ি খুব ধীরগতিতে চালাতে হয়। সেতুটির নিচে বালুর বস্তা দিয়ে ঠেস দেয়া হয়েছে। তার ওপর গাড়ি ধীরে ও সাবধানে চালানো হয়। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ধসে পড়লে সাত জেলার সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।
সংশ্লিষ্ট বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, গত বছরের মার্চ মাসে দরপত্রের মাধ্যমে সেতুর নিচে বালুর বস্তা দিয়ে ঠেস দেয়ার কাজটি করা হয়েছে। প্রায় আড়াই হাজার বালুর বস্তা দিয়ে ঠেস দেয়া হয়েছে।
রংপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে এম শফিকুজ্জামান বলেন, সেতুটি অনেক পুরোনো। অনেক বেশি যানবাহন চলাচল করে বলে সেতুটি চাপ নিতে পারছে না। ফলে একটি গার্ডারে ফাটল দেখা দিয়েছে। সেতু বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে বালুর বস্তা দিয়ে ঠেস দেয়া হচ্ছে। এতে করে সেতুটি ভেঙে পড়লেও বালুর বস্তায় আটকে যাবে। ঈদের রাতেও যানবাহন চলাচল বন্ধ রেখে সেতুটির সংস্কারকাজ করা হয়েছে। শফিকুজ্জামান আরো বলেন, ইতোমধ্যে মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে কাজ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে সময় এখানে নতুন করে সেতু নির্মাণ করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
চীনা কোম্পানি বেপজা অর্থনৈতিক জোনে ১৯.৯৭ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে মৃত মায়ের গর্ভে জন্ম নিলো নতুন প্রাণ দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদ সমাবেশে কেউ মারা যায়নি : পুলিশ সুপার হামাসকে কাতার ছাড়তে হবে না, বিশ্বাস এরদোগানের জাহাজভাঙা শিল্পে শ্রমিক নিরাপত্তার উদ্যোগ ভালো লেগেছে : সীতাকুন্ডে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ১০ দেশের অংশগ্রহণে সামরিক মহড়া শুরু করল আরব আমিরাত গাজা থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহারের পর ২ হাজার ফিলিস্তিনি নিখোঁজ ৯ বছর পর সৌদি আরবে আসছে ইরানি ওমরা কাফেলা দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা : প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশের হামলার নিন্দা হেফাজতে ইসলামের ভর্তি পরীক্ষায় জবিতে থাকবে ভ্রাম্যমাণ পানির ট্যাংক ও চিকিৎসক মিয়ানমার থেকে ফেরত আসা বাংলাদেশীরা কারা?

সকল