১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

২০৫০ সালের পর মানুষ কমতে থাকবে বাংলাদেশে

-

নাসার সাবেক জ্যোতির্বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. দীপেন ভট্টাচার্য্য বলেছেন, জ্যোতির্বিজ্ঞান বুঝতে হলে বায়ুমণ্ডলের উপরে যেতে হবে। বিভিন্ন নক্ষত্রের পতন থেকে আমরা মূল্যবান খনিজ পদার্থ পেয়েছি। আমরা বিভিন্ন গ্রহে প্রাণের অনুসন্ধান করছি। এখনো পাওয়া যায়নি। তবে কোথাও থাকতে পারে। এক সময় হয়তো সেখানে মানববসতিও গড়ে উঠতে পারে।
গতকাল শনিবার দুপুরে হবিগঞ্জ টাউন হলে ‘আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের টুকিটাকি’ বিষয়ক একক বক্তৃতা এবং বিজ্ঞানবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ বলেন। বাংলানিউজ।
ড. দীপেন বলেন, পৃথিবীতে বর্তমানে মানুষ আছে ৮ বিলিয়ন। এটি বেড়ে হতে পারে ১২-১৩ বিলিয়ন। তবে এক সময় ঠিকই কমে তা ৫ বিলিয়নের আশপাশে থাকবে। বর্তমানে এশিয়া ও আফ্রিকাতে মানুষ বেশি বাড়ছে। বাংলাদেশেও ২০৫০ সালের পর মানুষ কমতে থাকবে।
তিনি বলেন, দেশে যারা শিক্ষা নিয়ে গবেষণা এবং কাজ করছেন তাদের অনেক সক্ষমতা রয়েছে। তাদের কাজে লাগাতে হবে। কেন আমাদের লোকেরা পদ্মাসেতু আর যমুনা সেতু করতে পারছে না তা আমার বোধগম্য নয়।
তিনি আরো বলেন, জ্ঞান সব সময় মানুষের কল্যাণে আসে। তা যেভাবেই আহরণ করা হোক না কেন। কোনো কিছু জানাটাই মানবকল্যাণ।
দৃশ্যমান আলোয় বাংলাদেশ থেকে গবেষণা করা কঠিন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখানে শীতের আকাশে কুয়াশা আর গরমে বৃষ্টি থাকে। ফলে মহাকাশ গবেষণা করা এখানে কঠিন। তবে বর্তমানে অনেক ডাটা উন্মুক্ত হওয়ায় যেকোনো স্থান থেকে এ নিয়ে গবেষণা করা সহজ ও সাশ্রয়ী হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ১৯শ’ শতকের প্রথম দিকে আমরা জানতাম না ছায়াপথ ছাড়াও আরো গ্যালাক্সি আছে। ১৯২৪ সালে আমরা সেটি জানতে পারি। তবে এর সবকিছু আইনস্টাইন থেকে এসেছে তা সঠিক নয়।
অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), হবিগঞ্জ, খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার ও তারুণ্য সোসাইটি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা, হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মিজানুর রহমান মিজান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফজলুল হক, বাপার সভাপতি অধ্যাপক ইকরামুল ওয়াদুদ, সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল প্রমুখ। পরে প্রধান অতিথি ড. দীপেন ভট্টাচার্য্যর হাতে শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেন।


আরো সংবাদ



premium cement