২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

১১ দফা দাবিতে আজ রাত ১২টা থেকে নৌযান শ্রমিকদের লাগাতার কর্মবিরতি

-

নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, শ্রমিক নির্যাতন বন্ধ ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার, নৌযান শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ভারতগামী শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাস, জাহাজে কর্মরত প্রত্যেক নৌ-শ্রমিককে মালিক কর্তৃক ফ্রি খাবারের ব্যবস্থা করা, কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় মৃত নৌ-শ্রমিকের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান, মাস্টার/ড্রাইভারদের ইনচার্জ, এনড্রোসমেন্ট ও টেকনিক্যাল ভাতা পুনঃনির্ধারণ, সমুদ্রভাতা ও রাত্রিকালীন ভাতা নির্ধারণসহ ১১ দফা দাবিতে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন আজ মঙ্গলবার রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে সারা দেশে সব নৌযানে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করবে। এর সমর্থনে বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে গতকাল সোমবার বিকেলে চট্টগ্রামের সদরঘাট পান বাজারের কার্যালয়ে ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুর রহিম ড্রাইভারের সভাপতিত্বে এক শ্রমিক সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সঙ্ঘ চট্টগ্রাম জেলা সাধারণ সম্পাদক মো: মামুন, বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের সহসাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন মাস্টার, সহসভাপতি করিম ড্রাইভার, সহসাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন সেলিম, অর্থ সম্পাদক আবদুল্লাহ ড্রাইভার প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেনÑ সরকার-মালিক চুক্তি করে কথা রাখেনি। আমরা দীর্ঘ দিন ১১ দফা দাবিতে সংগ্রাম করছি। সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় গত ১৫ই এপ্রিল থেকে সারা দেশে সব নৌযানে লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করলে এর পরদিন সরকার-মালিক ও শ্রমিকপক্ষ ত্রি-পক্ষীয় এক চুক্তি হয়। চুক্তিতে সিদ্ধান্ত হয়, ৪৫ কর্মদিবসের মধ্যে ত্রি-পক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে ১১ দফা দাবির মীমাংসা করা হবে। কিন্তু সরকার ও মালিকপক্ষ ত্রি-পক্ষীয় চুক্তি মোতাবেক সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন না করায় আবারো বাধ্য হয়ে লাগাতার কর্মবিরতিতে যাচ্ছি। এর জন্য দায়ী হচ্ছে সরকার ও মালিকপক্ষ।

 


আরো সংবাদ



premium cement