বুড়িগঙ্গার তীর থেকে ৬১ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
৮৮ লাখ টাকার মালামাল নিলামে- ঢাকা জেলা প্রতিনিধি
- ১৮ জুলাই ২০১৯, ০০:১৫
বুড়িগঙ্গা নদীর পাড় দখল করে গড়ে তোলা বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু এমপির বাগানবাড়ি, বসুন্ধরা গ্রুপের আবাসন প্রকল্প ও চায়না হারবার নামে বিদেশী প্রতিষ্ঠানের সাইট অফিস ১টি দোতলা ভবন, ৬টি একতলা ভবন, ২৩টি আধাপাকা স্থাপনা ও ৩১টি টিনশেডের ঘরসহ ৬১টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। উচ্ছেদ কাজে বাধা দেয়ায় বসুন্ধরা গ্রুপের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মাকসুদুর রহমানসহ ৪ কর্মকর্তাকে ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় কেরানীগঞ্জের দোলেশ্বর এলাকায় বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুর রহমান হাকিমের নেতৃত্বে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। চলমান অভিযানে প্রথমবারের মতো বিদেশী কোনো প্রতিষ্ঠানের একটি এক্সকেবেটর, ট্রাক ও ভাসমান পন্টুন জব্দ করে তারা। পরে উচ্ছেদ ও জব্দকৃত মালামাল ৮৮ লাখ ২০ হাজার টাকা নিলামে বিক্রি করা হয়।
ঢাকার চারপাশের নদীকে দখলমুক্ত করতে চতুর্থ ধাপের ৯ম দিনে এসে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের দোলেশ্বর এলাকায় নদীর তীর দখল করে গড়ে তোলা বিদেশী প্রতিষ্ঠান চায়না হারবারের পাথর লোড-আনলোডের ইয়ার্ড ও সাইট অফিসসহ সীমানা প্রাচীর গুঁড়িয়ে দেয় বিআইডব্লিউটিএর উচ্ছেদকারী এক্সকেবেটর। দুপুর ১২টার দিকে ওই এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা বেশ কিছু কারখানা ও টিনসেডের ঘর উচ্ছেদ করা হয়। এ সময় দোলেশ্বর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের পাশে নদীর প্রায় ৪ একর জায়গা ভরাট করে গড়ে তোলা আবাসন প্রকল্পে উচ্ছেদ অভিযান চালায় বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। এ সময় বাধা দেয়ায় বসুন্ধরা গ্রুপের চার কর্মকর্তাকে আটক করেন বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুর রহমান হাকিম। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ওই চার কর্মকর্তাকে ৫০ হাজার করে ২ লাখ টাকার অর্থদণ্ড দেন তিনি। অভিযানের শেষ বেলায় বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর বাগানবাড়ির দেয়াল ও গরুর খামারে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। এ সময় নদীর তীর ঘেঁষে নির্মাণ করা বাগানবাড়ির দেয়ালসহ একটি গরুর খামার গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।
অভিযানের নেতৃত্ব দেয়া বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট হাবিবুর রহমান হাকিম বলেন, নদীর তীর দখলকারী যেই হোক না কেন কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। নদী ভরাট করে গড়ে তোলা বসুন্ধরা গ্রুপের দখলে থাকা প্রায় ৪ একর জায়গা অবমুক্ত করা হয়েছে। উচ্ছেদ কাজে বাধা দেয়ায় ওই প্রতিষ্ঠানটির চার কর্মকর্তাকে ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। একই সাথে উচ্ছেদকৃত মালামাল নিলামে বিক্রি করে প্রাপ্ত অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেয়া হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক (বন্দর) এ কে এম আরিফ উদ্দিন জানান, নদীর জায়গা অবৈধভাবে ভরাট করা বালু ও মালামাল নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে। যদি নিলামে লোক না পাওয়া যায় তবে সরকারি খরচে অবমুক্ত করা জায়গার বালু অপসারণ করে নদীর জায়গা নদীকে ফেরত দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, ২৯ জানুয়ারী থেকে শুরু হওয়া এ অভিযানে প্রায় ৬ হাজার অবৈধ স্থাপনাসহ দেড় শ’ একর জমি উদ্ধার ও সাড়ে ৫ কোটি টাকার মালামাল নিলামে বিক্রি করেছে বিআইডব্লিউটিএ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা