১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নারায়ণগঞ্জে ৩০০ গ্রাহকের কয়েক কোটি টাকা নিয়ে পালিয়েছে সমিতি মালিক

-

নারায়ণগঞ্জে সমবায় সমিতির নামে গ্রাহকদের কয়েক কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছে ২নং রেলগেট এলাকার বাসিন্দা সওদাগর। গত বৃহস্পতিবার রাতে গ্রাহকরা তার বাসায় গিয়ে দেখেন সওদাগর বাসায় নেই। সেই সাথে সওদাগর তার আত্মীয়স্বজনদেরও প্রায় এক কোটি নিয়ে গেছেন। এ সময় পাওনাদাররা বাসায় গিয়ে হট্টগোল শুরু করছে চাষাঢ়া ফাঁড়ির ইনচার্জ মিজানুর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
জানা যায়, সওদাগর শীতলক্ষ্যা এলাকার ড্রীম সমবায় সমিতির কথা বলে গ্রাহকদের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা জমা নেন। তার সমবায় সমিতির গ্রাহক সংখ্যা হচ্ছে ৩০০। তারা প্রত্যেকেই সওদাগরের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা পাবেন। পাওনাদারের মধ্যে রয়েছেন সুমন ৩০ লাখ টাকা, হরনাথ বিশ্বাস ২০ লাখ টাকা, জনি বিশ্বাস ৮ লাখ টাকা, মহসিন আহাম্মেদ ২৩ লাখ টাকা, সাইদুল এক লাখ ৫৭ হাজার টাকা, শাহানা ৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, সোহাগ সাড়ে ১৭ লাখ টাকা, তসলিম উদ্দিন ৭০ লাখ টাকা, সাথী ৪ লাখ ১০ হাজার টাকা, মুদি দোকানদার আক্তার হোসেন ৬৭ হাজার টাকা, পারভীন ১০ লাখ টাকা ও পারুল আক্তার ৪ লাখ টাকা। তাদের মধ্যে অনেকেই সওদাগরের কোনো না কোনোভাবে আত্মীয় হয়ে থাকেন।
পাওনাদার হরনাথ বিশ্বাস জানান, আমার সারা জীবনের সম্বল ছিল ২০ লাখ টাকা। সওদাগর ব্যবসার কথা বলে আমার কাছ থেকে এই ২০ লাখ টাকা নিয়ে আসে। প্রথম তিন মাস মুনাফা দিয়ে গেলেও পরে সে আর মুনাফা দেয়নি এবং টাকাও দিচ্ছে না। আজ, কাল কিংবা পরশু বলে সময়ক্ষেপণ করে আসছে। সর্বশেষ তার বাসায় দেখি সে এখন বাসায় নেই। বাসার লোকেরা বলছে সওদাগর ও তার ছেলে সানী নাকি বিদেশ চলে গেছে। এখন আমরা কোথায় যাবো। এ দিকে টাকার অভাবে আমাদের না খেয়ে থাকতে হচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জ পুলিশের পরিদর্শক মিজানুর রহমান জানান, ঘটনাস্থলে এসে আমি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। সওদাগরের আত্মীয়স্বজনদের সাথে কথা বলেছি, যেন অতিদ্রুত পাওনাদারের পাওনা বুঝিয়ে দেয়া হয়। এ ছাড়া যদি পাওনাদাররা থানায় অভিযোগ করে তাহলে আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।


আরো সংবাদ



premium cement