দুদকের বরখাস্তকৃত বাছিরের জন্য পদ খালি রাখার আদেশ প্রত্যাহার
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১২ জুলাই ২০১৯, ০০:০০
ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাময়িক বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের জন্য মহাপরিচালক পদ খালি রাখার আদেশ প্রত্যাহার করেছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো: আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মাদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ গতকাল বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। এর ফলে এই পদে নতুন মহাপরিচালক নিয়োগ বা পদোন্নতিতে দুদকের আর বাধা থাকল না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো: খুরশীদ আলম খান। খন্দকার এনামুল বাছিরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ কামাল হোসেন।
আদেশের পর খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, গত ২ জানুয়ারি তার এক রিট আবেদনে হাইকোর্ট রুল জারি করেছিলেন। পরে ২৯ জানুয়ারি আদালত একটি মহাপরিচালক পদ খালি রাখতে নির্দেশ দেন। আজ (গতকাল বৃহস্পতিবার) কাগজপত্র দিয়ে আদালতে বলেছেন ইনি বরখাস্ত আছেন, তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। এরপর আদালত ২৯ জানুয়ারির দেয়া আদেশ তুলে নিয়েছেন। এখন ওই মহাপরিচালক পদে নিয়োগে আর কোনো বাধা নেই।
আইনজীবী কামাল হোসেন বলেন, মহাপরিচালক পদে পদোন্নতি পেতে দুদকের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে গত জানুয়ারিতে রিট করেন এনামুল বাছির। আদালত তখন রুল দিয়েছেন কেন তাকে প্রমোশন দেয়া হবে না। পরে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন যে, দুদকের আটটি মহাপরিচালক পদের মধ্যে একটি তার জন্য খালি রাখতে। আজ (গতকাল বৃহস্পতিবার) রুলটা শুনানির জন্য ধার্য ছিল। যেহেতু ইতোমধ্যে তিনি সাসপেন্ড হয়েছেন, সে কারণে তার জন্য পদ খালি রাখার আদেশ ভ্যাকেট (আদেশ তুলে নেয়া হলো) করা হলো। রুলটি পরবর্তীতে শুনানি হবে ওনার বিভাগীয় তদন্তের পর। যদি উনি তদন্তে জেতেন তাহলে রুল শুনানি হবে। আর তিনি যদি ডিসমিসড (চাকরিচ্যুত) হন তাহলে রুলটা অকার্যকর হবে।
প্রসঙ্গত, নারী নির্যাতনসহ একাধিক অভিযোগে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয় পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে। এরপর তার বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য প্রকাশ হওয়ায় তদন্ত শুরু করে দুদক। এই তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন বাছির। তবে তদন্ত চলার সময় পাওয়া তথ্য অভিযুক্তের কাছে ফাঁস করে আপসরফার মাধ্যমে দুই দফায় ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেন তিনি। ডিআইজি মিজান নিজেই এমন অভিযোগ করেন বাছিরের বিরুদ্ধে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা