২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`
সংবাদ সম্মেলনে দাবি

কেনা ফ্ল্যাটটি দখল করতে অপহরণ করা হয় শামছুল হুদাকে

-

কেনা ফ্ল্যাটটি জবরদখল করতেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নামে অপহরণ করা হয়েছিল আমাকে। অপহরণের পর চরম নির্যাতন, নানা ধরনের হুমকি-ধামকি ও একাধিক সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়া হয়। বর্তমানের চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি আমরা। গতকাল রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বগুড়া থেকে অপহরণ ও পরদিন ঢাকার কচুক্ষেত থেকে উদ্ধার হওয়া দেওয়ান শামছুল হুদা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তার অন্তঃসত্ত¡া স্ত্রী জেসমিন আক্তার।
জেসমিন লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ৯ জুন গ্রামের বাড়ি বগুড়ার আদমদীঘি থানা এলাকা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ধারী একদল লোক তার স্বামীকে অপহরণ করে। এ সময় তার চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন ধাওয়া করে অপরহরণকারীদের একটি গাড়িসহ ৫-৬ জনকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দেয়। আদমদীঘি থানা পুলিশ তাদের থানায় নিয়ে বিশেষ কোনো কারণে ছেড়ে দেয়। এ ঘটনায় ওই থানায় একটি জিডি করা হয়।
এরমধ্যে বিভিন্ন স্থানে খুঁজেও শামছুল হুদার হদিস পাওয়া যায়নি। পরদিন ১০ জুন রাতে রাজধানীর কচুক্ষেত এলাকায় শামছুল হুদাকে অসুস্থ অবস্থায় পাওয়া যায়।
জেসমিন বলেন, ফ্ল্যাট নিয়ে প্রতারণার মামলা করায় ক্ষিপ্ত মুশরাত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় ব্যবহার করে কিছু ব্যক্তিকে তাদের পেছনে লেলিয়ে দিয়েছেন। তার লেলিয়ে দেয়া বাহিনীকে দিয়েই শামছুল হুদাকে মুশরাত অপহরণ করিয়েছেন। তারা আমার স্বামীকে অপহরণের পর আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের পর সাদা কাগজে স্বাক্ষর করে নিয়েছে। এখন ফ্ল্যাট নিয়ে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারে করতে বলছে। তা না হলে স্বামী-স্ত্রীকে হত্যা করা হবে বলেও হুমকি দেয়া হয়েছে। বর্তমানে তাদের নিরাপত্তা ও ফ্ল্যাটের একটি সুরাহার জন্য প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সেনা প্রধানের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মুশরাত জাহান ও তার মেয়ে কারিসা মুসরাতের মোবাইলফোন নম্বরে যোগাযোগ করা হলে নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।


আরো সংবাদ



premium cement