২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে বিতর্ক

-

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে সচিবালয়ে তুমুল তর্ক-বিতর্ক হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিষয়ে বলেন, দৈনিকই ওষুধ মেয়াদোত্তীর্ণ হয় এবং সেগুলোকে আলাদা জায়গায় রাখা হয়। মেয়াদোত্তীর্ণ কোনো ওষুধ সেল্ফে থাকতে পারবে না। ওষুধ প্রশাসন প্রতিনিয়ত মনিটরিং করে ব্যবস্থা নেয়। এ বিষয়ে অন্য একদিন সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হবে বলে মন্ত্রী জানান।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাম্পেইন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মোবাইল অভিযানে ৯৩ শতাংশ ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রয়েছে, এগুলো বিক্রি হচ্ছে এবং সেই প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের নির্দেশনা সংক্রান্ত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী কথা বলছিলেন। এ সময় সাথে ছিলেন স্বাস্থ্যসচিব আসাদুল ইসলাম, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান।
মাহবুবুর রহমান একটি জাতীয় দৈনিকের রিপোর্ট দেখিয়ে বলেন, শিরোনামে রাজধানীর ৯৩ শতাংশ ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ কিন্তু ভেতরে লেখা হয়েছে রাজধানীর ৯৩ শতাংশ ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি হচ্ছে। এ কথা বলার পর গণমাধ্যমকর্মীরা প্রতিবাদ জানিয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করলে হইচই হট্টগোল শুরু হয়।
এ সময় স্বাস্থ্যসচিব বলেন, শতভাগ দোকানে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ থাকতে পারে। কারণ এটা প্রতিদিনই ঘটে। পত্রিকায় ১০০ ভাগ দোকানে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রয়েছে লিখলে ভুল হতো না। মেয়াদোত্তীর্ণ হলে ওষুধ আলাদা সরিয়ে রাখা হয় এবং কোম্পানির লোকেরা ফার্মেসি থেকে এগুলো তুলে আনেন। কিন্তু ১০০ ভাগ দোকানে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি হচ্ছে তা বলা হলে তা মারাত্মক ভুল হবে, এটা ক্রিমিনাল অফেন্স।
ওষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালক এ সময় বলেন, ওষুধ এমন একটি জিনিস তা যেখানে সেখানে ফেলতে পারবেন না। অ্যান্টিবায়োটিক রাস্তায় ফেলে দিলে স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দেবে, পরিবেশদূষণ হবে।
‘তাহলে কি মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ দোকানে বিক্রি হচ্ছে না বলে গণমাধ্যমকর্মীরা প্রশ্ন রাখেন। এই হট্টগোলের মধ্যে এক গণমাধ্যমকর্মী প্রস্তাব করেন, ‘মন্ত্রী, সচিব ও ওষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালককে নিয়ে রাজধানীর ১০টি ফার্মেসিতে গিয়ে দেখি যে দোকানগুলোতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি হচ্ছে না।’ এ বিষয়ে মন্ত্রী কোনো সাড়া দেননি।
এ ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, আমরা ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি হতে দেবো না। এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement