১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`
সংসদে প্রশ্নোত্তরে খাদ্যমন্ত্রী

খাদ্য সংরক্ষণে ১৭০টি খাদ্য গুদাম ও ২০০টি সাইলো নির্মাণ করা হচ্ছে

-

খাদ্যশস্য সংরক্ষণের জন্য সারাদেশে আরো ১৭০টি খাদ্য গুদাম ও দুইশোটি সাইলো নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। গতকাল জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান।
বিরোধী দল জাতীয় পার্টির বেগম সালমা ইসলামের প্রশ্নের লিখিত জবাবে মন্ত্রী জানান, আরো ১৭০টি খাদ্য গুদাম নির্মাণ করা হবে। এসব গুদামের মধ্যে এক লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন গুদাম রয়েছে ১৬২টি এবং ৫ দশমিক ১৮ মেট্রিক টন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ৮টি স্টিল সাইলো রয়েছে। তিনি আরো জানান, কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান ক্রয় করে সংরক্ষণের জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে ৫ হাজার মেট্রিক টন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ২০০টি ধানের সাইলো নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে।
সরকারি দলের মোহাম্মদ এবাদুল করিমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, চলতি বোরো মওসুমে সরকার প্রথম প্রতি কেজি ২৬ টাকা বা প্রতি মণ এক হাজার ৪০ টাকা দরে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে এক লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে এ বছর ধানের বাম্পার ফলন বিবেচনায় নিয়ে একই দরে আরো ২ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এর বাইরে এ মওসুমে ৩৫ কেজি দরে এক লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল ও প্রতি কেজি ৩৬ টাকা দরে ১০ লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল মিলারদের কাছ থেকে সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এ দিকে সরকারি দলের সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী সংসদে জানিয়েছেন, বর্তমানে বাংলাদেশ ৩৮টি দেশে জিএসপি সুবিধা পাচ্ছে। এসব দেশের মধ্যে ইইউভুক্ত ২৮টি দেশ রয়েছে। অন্য দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড, জাপান, তুরস্ক, রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, কানাডা ও চিলি। তিনি জানান, জিএসপি সুবিধার আওতায় রুলস অব অরজিন শিথিলসহ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ-পরবর্তী সময়ে বিদ্যমান শুল্ক সুবিধা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ মিশনগুলো সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে সক্রিয় যোগাযোগ রক্ষা করে থাকে।
মন্ত্রী জানান, জিএসপি সুবিধাপ্রাপ্ত দেশগুলোয় রফতানি সম্ভাবনা থাকা সত্তে¡ও রফতানি আশানুরূপ বৃদ্ধি না পেলে বিদেশে অবস্থিত বাণিজ্য মিশনগুলো সভা, সেমিনার ও মেলাসহ বিভিন্ন কমসূচির মাধ্যমে উক্ত দেশের ব্যবসায়ীদেরকে অবহিত ও উদ্বুদ্ধ করে থাকে। এ ছাড়া বাংলাদেশে থেকে ইস্যুকৃত জিএসপি সনদ সম্পর্কিত কোন সমস্যা দেখা দিলে সেসব বিষয়ে বাণিজ্য মিশনগুলো মন্ত্রণালয়, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করে থাকে।
সংসদে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান সরকারি দলের সদস্য বেগম হাবিবা রহমান খানের প্রশ্নের জবাবে জানিয়েছেন, বর্তমান সরকার বেকার যুব সমাজকে কর্মসংস্থান ও অন্যান্য সুবিধার মাধ্যমে স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি জানান, সারাদেশে বেকারের সংখ্যা ২৬ লাখ ৭৭ হাজার জন। এসব বেকারের মধ্যে ১০ লাখ ৪৩ হাজার শিক্ষিত তরুণ-তরুণী, যারা উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাস। অর্ধশিক্ষিত বেকারের সংখ্যা ৪০ শতাংশ।
আওয়ামী লীগের সদস্য মো: ইসরাফিল আলমের প্রশ্নের জবাবে বেগম মুন্নজান সুফিয়ান জানান, সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্ত¡শাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকের সংখ্যা ৫৭ লাখের বেশি। এর মধ্যে পোশাক কারখানায় কর্মরত শ্রমিকের সংখ্যা ২৫ লাখ ৭৪ হাজার ৪৯৮ জন। তৈরি পোশাক শিল্প ব্যতিত অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকের সংখ্যা ৩১ লাখ ২৩ হাজার ৩৭০ জন।


আরো সংবাদ



premium cement