২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

টাঙ্গাইলে মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায় আরো ২ জনের সাক্ষ্য

-

টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলায় ডাক্তারসহ আরো দু’জন আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার এ মামলার প্রধান আসামি টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সরকারদলীয় সাবেক এমপি আমানুর রহমান খান রানার উপস্থিতিতে তারা সাক্ষ্য দেন। এ নিয়ে মোট ১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হলো।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম খান জানান, বৃহস্পতিবার চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। এ জন্য বুধবার সকালেই প্রধান আসামি আমানুর রহমান খান রানাকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে আনা হয়। এ দিন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে সাক্ষ্য দেন টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তৎকালীন মেডিক্যাল অফিসার ডা: আশরাফ আলী এবং পাবলিক সাক্ষী আব্দুল আওয়াল। পরে অ্যাডভোকেট বাকী মিয়াসহ আসামি পক্ষের অন্য আইনজীবীরা তাদের জেরা করেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালতের বিচারক রাশেদ কবির আগামী ৪ জুলাই মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন। দুপুর সাড়ে ১২টায় বিচারিক কার্যক্রম শেষে রানাকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে টাঙ্গাইল কারাগারের নিয়ে যাওয়া হয়। এর আগে রানার অসুস্থতার কারণে তিনবার সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম পিছিয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইল জেলহাজতে থাকা তিন আসামি মোহাম্মদ আলী, আনিছুর রহমান রাজা ও সমিরকে আদালতে হাজির করা হয়। এ ছাড়া জামিনে থাকা আসামি নাসির উদ্দিন নুরু, মাসুদুর রহমান মাসুদ ও ফরিদ আহম্মেদ আদালতে হাজিরা দেন।
২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম নেতা ফারুক আহমেদকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরে এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে সাবেক এমপি রানা ও তার তিনভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়িক নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা সানিয়াত খান বাপ্পার জড়িত থাকার চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে।
উল্লেখ্য, টাঙ্গাইলের দুই যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুন হত্যা মামলায় সাবেক এমপি আমানুর রহমান খান রানা বুধবার হাইকোর্ট থেকে স্থায়ী জামিন পান। এর আগে ফারুক হত্যা মামলায়ও তাকে ছয় মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট।

 


আরো সংবাদ



premium cement