সুতার ওপর ভ্যাট প্রত্যাহার দাবি
- অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
- ২০ জুন ২০১৯, ০০:১৫
সুতার ওপর ভ্যাট প্রত্যাহার চেয়েছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)। সংগঠনটি বলেছে বস্ত্রখাতের ওপর প্রস্তাবিত ভ্যাট হার বাস্তবায়ন হলে প্রতি কেজি সুতায় অন্তত ২৪ টাকা ভ্যাট দিতে হবে। এতে দেশি সুতার উৎপাদন ব্যয় বাড়বে। এ সুযোগে স্থানীয় সুতার বাজার আমদানি নির্ভর হয়ে পড়বে।
গতকাল বুধবার প্রস্তাবিত বাজেটের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেছে বিটিএমএ। রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন। এ সময় বিটিএমএ নেতৃবৃন্দ উপস্থিতি ছিলেন।
আগামী অর্থবছরের বাজেটে বস্ত্রখাতের প্রধান কাঁচামাল সুতা উৎপাদনে ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ প্রস্তাবের ওপর আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে গতকাল বিটিএমএ সভাপতি বলেন, এ প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা হলে কেজি প্রতি সুতায় অন্তত ২৪ টাকা ভ্যাট দিতে হবে। এত বেশি মূল্য দিয়ে কোনো কাপড়ের কল বা তাঁতি স্থানীয় সুতা কিনতে রাজি হবে না। এতে মিলগুলোতে অবিক্রীত সুতার স্তূপ বাড়বে। দীর্ঘ দিন ধরে বৈধ-অবৈধ পথে আসা বিদেশি সুতা-কাপড়ের কাছে মার খাওয়া দেশী বস্ত্র খাত এবার বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কার মুখে পড়বে।
ইতোমধ্যে বাজেট প্রস্তাবে বস্ত্র খাতের বেশ কয়েকটি জটিলতা সৃষ্টির কথা উল্লেখ করে বিটিএমএ সভাপতি বলেন, বাজেট বক্তৃতায় বস্ত্র খাতের মেশিনারিজ, যন্ত্রাংশ ও কিছু কিছু কাঁচামালের ওপর ৫ শতাংশ হারে অগ্রিম আয়করের প্রস্তাব করার পর ইতোমধ্যে শুল্কায়ন জটিলতা শুরু হয়ে গেছে। বিভিন্ন মিলের আমদানি করা মেশিনারিজ, যন্ত্রাংশ ও কাঁচামাল শুল্কায়ন জটিলতায় বন্দরে পড়ে আছে। এতে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে মিলগুলোর। এ জন্য এ খাতের ওপর প্রস্তাবিত ৫ শতাংশ কর হার প্রত্যাহার করার দাবি জানান তিনি।
বিটিএমএ সভাপতি বলেন, গত এক বছরের বেশি সময় ধরে স্পিনিং মিলগুলো কঠিন সময় পার করছে। তুলার দর ওঠানামা এবং মিথ্যা তথ্য দিয়ে সুতা, কাপড় ও ড্রেস মেটারিয়াল আমদানির কারণে উৎপাদন খরচের তুলনায় ২০-৩০ সেন্ট কম দরে কাপড় বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে মিলগুলো। এ কারণে ক্রমাগত লোকসানের কারণে মিলগুলো অস্তিত্ব সঙ্কটে আছে। এ অবস্থায় বস্ত্র ও পোশাক খাতের গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামাল সুতাকে ভ্যাটের বহির্ভূত রাখার অনুরোধ জানান তিনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা