১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বেনাপোল ইমিগ্রেশনের তিন কনস্টেবল হুন্ডি পাচারের অভিযোগে ক্লোজ

-

বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের নারীসহ তিন কনস্টেবল ও এক স্থানীয় হুন্ডি পাচারকারীকে হুন্ডির সাড়ে ১২ লাখ টাকাসহ আটক করার ৫ ঘণ্টা পর ছেড়ে দিয়েছেন ভারতীয় বিএসএফ। গত সোমবার সকাল ৯টায় তাদের আটক করে ভারতীয় বিএসএফ। আটকরা হলোÑ ইমিগ্রেশন কনস্টেবল আযম উদ্দিন, রমা ও তৃষা এবং বেনাপোল বড়আঁচড়া গ্রামের রুহুল আমীন। স্থানীয় সূত্র জানায়, বেনাপোল পোর্ট থানার বড়আঁচড়া গ্রামের রুহুল আমিন বেনাপোল ইমিগ্রেশনে টেন্ডেল হিসেবে কাজ করে এবং পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা পাচার করে থাকেন। সে তার কাজের ধারাবাহিকতায় মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ইমিগ্রেশন পুলিশদের ব্যবহার করে আসছিল। এ ছাড়া ইমিগ্রেশনের কিছু অসৎ কর্মকর্তা কর্মচারীও এসব অসৎ কাজের সাথে জড়িত দীর্ঘদিন ধরে। আযম নামে কনস্টেবল তার নেতৃত্বে ভারতীয় গেটের ইমিগ্রেশন পুলিশ ও বিএসএফকে জানিয়ে কনস্টেবল রমা, তৃষা ও রুহুল ভারতে যায়। এরপর ভারত থেকে ফেরার পথে বিএসএফ তাদের গোপন সংবাদের মাধ্যমে আটক করে তল্লাশি করে। এরপর তাদের কাছ থেকে সাড়ে ১২ লাখ টাকা উদ্ধার করে বিএসএফ। বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি আবুল বাশার বলেন আমরা এ ধরনের একটি সংবাদ পেয়ে ভারতের পেট্রাপোল সীমান্তের বিএসএফ ক্যাম্পে যাই। গিয়ে দেখি বেনাপোলের বড়আঁচড়া গ্রামের রুহুল আমিনকে দুই লাখ টাকাসহ ভারতীয় বিএসএফ আটক করেছে। এ ছাড়া পুলিশ কনস্টেবল তিনজন ভারতে ফল কিনে আবার তার সাথে ফেরার পথে বিএসএফ তাদেরও আটক করে। পরে আমরা বিএসএফের সাথে কথা বলে ওই তিন কনস্টেবলকে দেশে ফেরত আনি বেলা ২টায়। তবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবহিত করার পর তাদের তাৎক্ষণিক যশোর পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়। আর সাধারণ পাবলিক রুহুল আমিনকে টাকা আনার অপরাধে ভারতীয় বিএসএফ চালান দিয়েছে সে দেশের আদালতে।
উল্লেখ্য, বেনাপোল ইমিগ্রেশন কনস্টেবল আযম উদ্দিন এর আগে যশোর বেনাপোল মহাসড়কে সাত বোতল মদসহ বিজিবির কাছে আটক হয়। সেখানেও পুলিশের তৎকালীন ইমিগ্রেশনের সেকেন্ড অফিসার ফজলুর রহমান মুচলেকা দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে আনেন।


আরো সংবাদ



premium cement