২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

চট্টগ্রামের মিমি সুপার মার্কেটে অভিযান অধিক মূলে শাড়ি লেহেঙ্গা থ্রিপিস ও শিশুদের জামা বিক্রির দায়ে এক লাখ টাকা জরিমানা

-

কাপড়সহ অন্য পরিধেয় বস্ত্রসামগ্রী ও পণ্যের মার্কেট মিমি সুপার মার্কেটে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করেছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে এই মার্কেটে অযৌক্তিক ও অধিক মূল্যে বিক্রি হচ্ছে শাড়ি, লেহেঙ্গা, থ্রিপিস ও শিশুদের জামা-কাপড়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর রহমান ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: তৌহিদুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানকালে ওই মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জাকির হোসেনকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, অভিযানের আগে বাজার মনিটরিং টিমের সদস্যদের ছদ্মবেশে মার্কেটের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে পাঠান ম্যাজিস্ট্রেটরা। এ সময় মার্কেটের বেশির ভাগ দোকানে দেখা যায়, কোনো মূল্য তালিকা নেই। পণ্যের গায়েও কোনো মূল্য লেখা নেই। মার্কেটের ক্রেতাদের নানা অভিযোগ ও বাজার মনিটরিং টিমের সোর্সদের তথ্য মোতাবেক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা মিমি সুপার মার্কেটে প্রবেশ করতেই কাপড়সহ অন্যান্য পণ্য বিক্রিতে নানা কারসাজি ও অনিয়মের চিত্র দেখতে পান। এই মার্কেটের অভিজাত দোকানগুলো পরিদর্শন করে দেখা যায়, ভারত থেকে আমদানিকৃত শাড়ি লেহেঙ্গা থ্রিপিস, শিশুদের ড্রেসের কাগজপত্রের মূল্যের সাথে দোকান মালিকরা কোড আকারে পণ্যের গায়ে ও রেজিস্টারে যে মূল্য লিখে রাখছেন সেটা যৌক্তিক নেই। বেশির ভাগ কাপড়জাতীয় পণ্যই আমদানি মূল্যের চাইতে অধিক মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে।
অভিযানকালে মার্কেটের দোকান মালিক সমিতির সভাপতি ও সম্পাদকদের সাথে নিয়ে ১৮টির মতো দোকান পরিদর্শন করা হয়। এ সময় দেখা যায় ১৬টি দোকানেই মূল্যতালিকা বা পণ্যের গায়ে প্রাইস ট্যাগ নেই। পণ্যের ক্রয় রশিদ, আমদানির কাগজপত্র ও চালানের সাথে বিক্রয় মূল্যের দামে অনেক পার্থক্য। সরেজমিন দেখা যায়, কোনো কোনো দোকানে শাড়ি, লেহেঙ্গা, থ্রিপিস ৩০ হাজার থেকে ৩৫ হাজার টাকাতেও বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেটদের কাছে দোকান মালিকরা যেসব কাগজপত্র প্রদর্শন করেছেন সেগুলোর কোনোটিতেই এত বেশি আমদানি কিংবা ক্রয়মূল্য লেখা নেই।
সূত্র জানায়, অভিযানকালে সাদমান ফ্যাশন, মানসী, রজনীগন্ধা, ইয়ং লেডি, আকর্ষণ, আঁচল, কাঁকন, কংকন, পিন্ধন, জারা-১, জারা-২, বন্ধন, ডল ফ্যাশন, রূপসী, তুলি, তিশা নামীয় দোকানে পণ্য বিক্রিতে অনিয়ম ধরা পড়ে। শুধুমাত্র জেন ফ্যাশন ও নিপুণ ফ্যাশনকে নির্ধারিত মূল্য তালিকা বা প্রাইস ট্যাগ পণ্যের গায়ে যথাযথভাবে প্রদর্শিত করতে দেখা গেছে বলেও সূত্র জানায়।
সূত্র আরো জানায়, ভ্রাম্যমাণ আদালত দোকান মালিক সমিতির সভাপতি ও সম্পাদককে অনিয়মের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা জানান, দোকান মালিক সমিতির সভায় পণ্যের ফিক্সড রেট প্রদর্শন করার সিদ্ধান্ত হওয়ার পরও কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না।
বিভিন্ন দোকান মালিকের সাথে কথা বলে জানা যায়, সাদমান ফ্যাশন, মানসী, রজনীগন্ধা ফ্যাশনসহ কিছু অসাধু দোকান মালিক ভ্যাট ফাঁকি দেয়ার জন্য ফিক্সড রেটে পণ্য বিক্রির বিরোধিতা করছেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement