২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

খুলনায় রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী শাওনের আত্মহত্যা

-

খুলনার রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী ফারহানা ইয়াসমিন শাওন (৩৬) গতকাল আত্মহত্যা করেছেন। দুপুরে নগরীর নিরালার কাশেমনগরের ভাড়া বাসায় তিনি ফ্যানের সাথে নিজের ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেন।
শাওন বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী ছিলেন। এ ছাড়া তিনি জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের ডুমুরিয়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও ডুমুরিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ছিলেন। শাওন খুলনা মহানগরীর নিরালা আলকাতরা মিল এলাকার শেখ আব্দুল হকের মেয়ে। এক বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে তিনি বড়। ছোট ভাইয়ের নাম অয়ন।
শাওনের রুমমেট শাহানা আলিমা জানান, সকালে ঘুম থেকে উঠে তিনি শাওনকে মানসিকভাবে কিছুটা বিপর্যস্ত দেখেন। দু’জনে কিছু কথা বলার পর যে যার কক্ষে চলে যান। সকাল সাড়ে ১০টায় শাওনের ঘর থেকে কোনো শব্দ না আসায় তিনি ডাকাডাকি করেন। পরে আশপাশের বাড়ি থেকে অন্যরা এসে কাচের দরজা ভেঙে শাওনকে উদ্ধার করে দ্রুত খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
শাওনের সহকর্মী লিটন ঢালী জানান, ছয় মাস আগে স্বামী অপু খানের সাথে ডিভোর্স হয় শাওনের। এ নিয়ে মানসিকভাবে তিনি কিছুটা বিপর্যস্ত ছিলেন। বাবার বাড়ি পাশে হলেও তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষক শাহানা আলিমার সাথে কাশিমনগর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের খুলনা শাখার সহসভাপতি অ্যাডভোকেট মিনা মিজানুর রহমান বলেন, ফারহানা ইয়াসমিন শাওন নগরীর কাশেমনগরের একটি ভাড়া বাসায় এক বান্ধবীর সাথে থাকতেন। দুপুরের দিকে বাসায় একা থাকা অবস্থায় ফ্যানের সাথে নিজের ওড়না পেঁচিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট খুলনার সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম সেলিম বলেন, শাওন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাথে জড়িত ছিলেন।
খুলনা সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবীর বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, মানসিকভাবে কিছুটা খারাপ থাকায় শাওন প্রায় ঘুমের ওষুধ খেতেন। পরিবার ও বন্ধুদের পক্ষ থেকে তাকে ঘুমের ওষুধ খেতে নিষেধ করা হয়েছিল। তারপরও তিনি শুনতেন না। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। তারপরও সঠিক কারণ খুঁজে বের করতে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement