সংবাদ প্রকাশের জের ধরে গোলাপগঞ্জের নয়া দিগন্ত সংবাদদাতার ওপর সন্ত্রাসী হামলা

‘গোলাপগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অবৈধ অটোরিকশা স্ট্যান্ড, যানজটে ভোগান্তি’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় সাংবাদিক সৈয়দ জেলওয়ার হোসেন স্বপনের ওপর গত মঙ্গলবার বিকেলে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় অজ্ঞাতসহ ৩৩ জনকে আসামি করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি অভিযোগও প্রদান করা হয়েছে। সাংবাদিক সৈয়দ জেলওয়ার হোসেন স্বপনের বাড়ি উপজেলার রণকেলী ইয়াগুল গ্রামে। তিনি নয়া দিগন্ত ও দৈনিক সবুজ সিলেট পত্রিকার গোলাপগঞ্জ সংবাদদাতা এবং সাপ্তাহিক সকালের দিগন্ত পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক।
গত ১৮ এপ্রিল নয়া দিগন্ত ও ১৪ মে সাপ্তাহিক সকালের দিগন্ত পত্রিকায় গোলাপগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অবৈধ অটোরিকশা স্ট্যান্ড, যানজটে ভোগান্তি শিরোনামে পৃথক দিনে সংবাদটি প্রকাশ হয়। এরই আক্রোশে মঙ্গলবার বিকেলে গোলাপগঞ্জ অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা পরিচয়দানকারী উপজেলার গোলাপগঞ্জ পৌরসভার রণকেলী দক্ষিণভাগ গ্রামের মরহুম লুদই আলীর ছেলে পুতুল আলম ২৫-৩০ জন সন্ত্রাসী নিয়ে দেশীয় অস্ত্র, রড, পাইপ, হকিস্টিক নিয়ে গোলাপগঞ্জ উপজেলা সদরস্থ মেসার্স সম্রাট স্টোরে অতর্কিতভাবে সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এ সময় তার পেশাগত কাজে ব্যবহৃত আলবা ডিজিটাল ক্যামেরা সন্ত্রাসীরা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত সৈয়দ জেলওয়ার হোসেনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। জনস্বার্থে সংবাদ পরিবেশন করায় সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলা করায় উপজেলার বিভিন্ন মহল ও বিভিন্ন সংগঠন এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
সাংবাদিক সৈয়দ জেলওয়ার হোসেন স্বপনের ওপর পুতুল আলমের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলা এবং তার ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ায় গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় পুতুল আলমকে প্রধান আসামি করে ও অজ্ঞাত আরো ২৫-৩০ জনকে আসামি করে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত অন্যদের মধ্যে রয়েছে ফুলবাড়ি গ্রামের আলাই ও রণকেলী গ্রামের রাহেল আহমদ।
এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার (ভারপ্রাপ্ত) অফিসার ইনচার্জ দিলীপ কান্ত নাথের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি অভিযোগ দাখিলের বিষয় নিশ্চিত করে এ প্রতিবেদককে জানান, অভিযোগটি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (অপারেশন) মো: দেলওয়ার হোসেনের কাছে প্রদান করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামুনুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি তিনি জানতে পেরেছেন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে গোলাপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জকে অবগত করেছেন। এ বিষয়ে সাংবাদিক লিখিত একটি আবেদনও দিয়েছেন। তিনি আরো জানান, গোলাপগঞ্জ উপজেলা সদরের অবৈধ সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডের ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা সভায় গোলাপগঞ্জ পৌরসভার মেয়রসহ অনেকেই এ নিয়ে আলোচনা করেছেন।