গঙ্গার অববাহিকাভিত্তিক ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ নিন
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১৬ মে ২০১৯, ০০:১০
গঙ্গার অববাহিকাভিত্তিক ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির (আইএফসি) নেতৃবৃন্দ।
ফারাক্কা লংমার্চের ৪৩তম বার্ষিকী উপলক্ষে আইএফসির পক্ষ থেকে গতকাল এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন আইএফসি নিউ ইয়র্কের চেয়ারম্যান, আতিকুর রহমান সালু, মহাসচিব সৈয়দ টিপু সুলতান; আইএফসি বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক জসিম উদ্দিন আহমাদ, সিনিয়র সভাপতি, ড. এস আই খান, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ইরফানুল বারী ও আইএফসি সমন্বয়ক মোস্তফা কামাল মজুমদার।
১৯৭৬ সালের ১৬ মে মজলুম জননেতা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী এই লংমার্চ আয়োজন করেন। ভারত উজানে পানি সরিয়ে নেয়ার ফলে বাংলাদেশে গঙ্গা-পদ্মা শুকিয়ে যাওয়ায় যে বিশাল বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর জন্য তিনি এই লংমার্চ আয়োজন করেন।
আইএফসির বিবৃতিতে বলা হয়, সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমেই নদীকে জীবিত রেখে তীরবর্তী সব জনগোষ্ঠীর জন্য তার সুবিধা দেয়া সম্ভব। তারা গঙ্গা পানিবণ্টন চুক্তি নবায়ন করে অববাহিকাভিত্তিক সমন্বিত আঞ্চলিক নদী ব্যবস্থাপনার প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য বাংলাদেশ সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে আহ্বান জানান।
তারা বলেন, ৪৩ বছর আগে আয়োজিত এই লংমার্চের যথার্থতা বিভিন্নভাবে প্রমাণিত হয়েছে। ভারতের বিহার সরকার সম্প্রতি ফারাক্কা বাঁধ ভেঙে দেয়ার দাবি তুলেছে। ভারতের পানিবিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাঁধ নির্মাণ করে স্বাভাবিক প্রবাহ বিঘিœত করায় কাবেরি, সবরমাতি নদী শুকিয়ে গেছে এবং গঙ্গা নদীও একই ভাগ্যবরণ করতে চলেছে। নদীকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে তার উৎসমুখ থেকে সাগর পর্যন্ত প্রবাহমান থাকতে হবে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, সীমান্তের ১১ মাইল দূরে ফারাক্কা বাঁধ থেকে গঙ্গার গতি পরিবর্তন করায় বাংলাদেশের নদী শুকিয়ে যে বিশাল পরিবেশগত বিপর্যয় দেখা দেয়, ফারাক্কা লংমার্চ ছিল তার বিরুদ্ধে প্রথম সফল গণপ্রতিবাদ। এই লংমার্চ রাজশাহীর মাদরাসা মাঠ থেকে শুরু হয়ে চাঁপাইনবাগঞ্জের কানসাটে গিয়ে সমাপ্ত হয়। সর্বস্তরের হাজার হাজার মানুষ ১০০ মাইল দীর্ঘ এই লংমার্চে অংশ নেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা