২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নার্স তানিয়াকে গণধর্ষণ ও হত্যা মামলা ধর্ষক বোরহান এখনো পুলিশের নাগালের বাইরে

-

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে চলন্ত বাসে নার্স শাহীনুর আক্তার তানিয়াকে (২৪) গণধর্ষণ করে হত্যার পর ৯ দিন অতিবাহিত হলেও অন্যতম ধর্ষক বোরহানসহ চাঞ্চল্যকর এ মামলার এজাহারভুক্ত কয়েকজন আসামিকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি।
মামলার প্রধান আসামি নুরুজ্জামান নুরু গত শনিবার সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আল মামুনের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেন। জবানবন্দীতে তিনি তানিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেন। তার সাথে তার খালাতো ভাই বোরহানউদ্দিন ও বাসের সহকারী আল আমিনও তানিয়াকে ধর্ষণ ও তার হত্যার সাথে জড়িত ছিল বলে জানান।
তানিয়ার বাবা মো: গিয়াস উদ্দিন চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামিসহ ধর্ষক বোরহানউদ্দিনকে পুলিশ গ্রেফতার করতে না পারায় হতাশা ব্যক্ত করে জানান, ঘটনার পর ৯ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ তাদের কেন গ্রেফতার করতে পারেনি? আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে নির্মমভাবে হত্যা করার বিচার কি আমি পাব না? তিনি অবিলম্বে অপরাধীদের গ্রেফতারসহ হত্যা মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নেয়ার দাবি জানান।
এ দিকে তানিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নেয়ার দাবিতে কটিয়াদীর বিভিন্ন সংগঠন প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে। অন্য দিকে কিশোরগঞ্জসহ কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়োজনে ও বাজিতপুরে একই দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
লোহাজুরী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো: নুরুল ইসলাম বিএসসি জানান, নির্মম এ হত্যাকাণ্ড ও ধর্ষণের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে শাস্তি প্রদান করতে হবে। এক্ষেত্রে পুলিশের ভূমিকা আরো গতিশীল করার দাবি জানান তিনি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাজিতপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সারোয়ার জাহান জানান, বাসের হেলপার লালন মিয়া গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জ অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আল মামুনের কাছে নিজের দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৬ মে সোমবার রাতে ঢাকার ইবনে সিনা হাসপাতালের স্টাফ নার্স শাহিনুর আক্তার তানিয়া স্বর্ণলতা পরিবহনে করে তার গ্রামের বাড়িতে পরিবারের সাথে প্রথম রোজা রাখার প্রত্যাশা নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে কটিয়াদী ও উজানচর এলাকায় বাসটির সব যাত্রী নেমে গেলে বাজিতপুর উপজেলার বিলপাড়-গজারিয়া এলাকায় বাসের চালক ও সহকারীরা তানিয়াকে গণধর্ষণ শেষে নৃশংসভাবে হত্যা করে। পরে অভিযুক্তরা লাশ কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেখে পালিয়ে যায়।
ওই রাতেই কটিয়াদী মডেল থানা পুলিশ বাসের চালক নুরুজ্জামান নুরু ও সহকারী লালন মিয়াকে গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া থেকে গ্রেফতার করেন। গত ৭ মে ময়নাতদন্ত শেষে তানিয়ার লাশ তার গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়। মঙ্গলবার রাতেই নিহত তানিয়ার বাবা মো: গিয়াস উদ্দিন বাদি হয়ে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর থানায় চারজনের নাম উল্লেখপূর্বক ও অজ্ঞাতনামা আরো তিন-চারজনের নামে একটি ধর্ষণ ও হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হচ্ছেনÑ বাসের চালক নুরুজ্জামান নুরু, হেলপার লালন মিয়া, আল আমিন ও পিরিজপুর বাজারের ইজারাদার আব্দুল্লাহ আল মামুন।


আরো সংবাদ



premium cement
কৃষক যাতে ন্যায্যমূল্য পান, সেভাবেই ধানের দাম নির্ধারণ করা হবে : কৃষিমন্ত্রী চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সিএনজি ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৪ ভান্ডারিয়ায় ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা দেখতে দর্শনার্থীদের ঢল তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ৭ দিন স্কুল বন্ধের দাবি চাটমোহরে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত বিএনপি সাম্প্রদায়িক শক্তি, এদের রুখতে হবে : ওবায়দুল কাদের সাদিক এগ্রোর ব্রাহামা জাতের গরু দেখলেন প্রধানমন্ত্রী ভারতে লোকসভা নির্বাচনে প্রথম ধাপে ভোট পড়েছে ৬০ শতাংশ সারা বিশ্ব আজ জুলুমবাজদের নির্যাতনের শিকার : ডা. শফিকুর রহমান মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশী : পররাষ্ট্রমন্ত্রী চন্দনাইশ, বাঁশখালী ও বোয়ালখালীতে ৩ জনের মৃত্যু

সকল