সিলেটে ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের মধ্যে সংঘর্ষ : দোকান ভাঙচুর
- সিলেট ব্যুরো
- ১৬ মে ২০১৯, ০০:০০
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সিলেট নগরীর কুয়ারপাড়ে ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কয়েকজন আহত হয়। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সংঘটিত এ ঘটনায় ওই এলাকার কয়েকটি দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়।
জানা যায়, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খানের সমর্থক ছাত্রলীগ কর্মী ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফসর আজিজের অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ ঘটে। গত কয়েক দিন ধরেই এই দুই নেতার অনুসারীদের মধ্যে কুয়ারপাড় এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উত্তেজনা চলছিল। মঙ্গলবার রাতে কুয়ারপাড়ে আফসর আজিজের অনুসারীদের বসার জায়গা সংলগ্ন কয়েকটি দোকানে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়।
একটি সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে ছাত্রলীগ কর্মী আহতের জেরে কুয়ারপাড়ে ক্ষমতাসীন দলের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির এ ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় গ্রুপের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, জুয়ার বোর্ডের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতার নেতৃত্বাধীন তেলিহাওর গ্রুপের ছাত্রলীগ ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফসর আজিজ গ্রুপের নেতাকর্মীর মধ্যে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ছাত্রলীগের অফিস ও সমবায় ভবনসহ কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করা হয়।
সূত্র আরো জানায়, কুয়ারপাড় এলাকায় জুয়ার বোর্ডের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সম্প্রতি নাসির গ্রুপের উপগ্রুপ শাকিল ও আফসর আজিজ গ্রুপের উপগ্রুপ ইমনের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এরই জেরে সোমবার শাকিলের নেতৃত্বে হামলায় নয়ন মিয়া (১৭) নামে আফসর আজিজ গ্রুপের এক কর্মী আহত হন। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়। ওই মামলায় তেলিহাওর গ্রুপের নেতাকর্মীদের আসামি করায় ক্ষুব্ধ হয়ে তারা কুয়ারপাড়ে আফসর আজিজ গ্রুপের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে।
সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) সাহাবুল ইসলাম বলেন, স্থানীয়ভাবে অভিযোগ মিলেছে, জুয়ার বোর্ডের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া এলাকায় জুয়ার বোর্ড নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা