২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কলসিন্দুর স্কুলে আগুন তদন্ত কমিটি গঠন

-

বাংলাদেশ নারী ফুটবলের আঁতুরঘর হিসেবে পরিচিত ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কলসিন্দুর উচ্চমাধ্যমিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের অফিসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিউল আলমকে প্রধান করে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা প্রশাসন বিভাগ। বুধবার পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন, এএসপি আলমগীর হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ডেভিড রানা চিসিম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাফিকুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। অগ্নিকাণ্ডে অফিসিয়াল নথিপত্র, খেলার মেডেলসহ কারিগরি শাখার যাবতীয় কাগজপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন জানান, স্কুলটি জাতীয়করণের জন্য প্রক্রিয়াধীন। পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যমূলকভাবেই আগুন দেয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারা জড়িত শিগগিরই চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কলসিন্দুর নারী ফুটবল দলের ম্যানেজার মালা রানী সরকার জানান, নারী ফুটবলারদের কল্যাণেই স্কুলটি জাতীয়করণের জন্য প্রক্রিয়াধীন থাকায় কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শিক্ষকদের সনদপত্র, মেয়েদের খেলার সনদপত্র ও মেডেল, রেজ্যুলেশন বই, কারিগরি শাখার গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র পুড়ে ফেলেছে।

কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রতন মিয়া জানান, এটি একটি নাশকতা। ফুটবল কন্যাদের দাবির প্রেক্ষিতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই প্রতিষ্ঠানটি জাতীয়করণের সব প্রক্রিয়া সম্পন্নের পথে। সেই প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যেই একটি মহল আগুনে সব কিছু ভস্মীভূত করেছে।
গত মঙ্গলবার ভোরে কে বা কারা কলসিন্দুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের দোতলা অফিসকক্ষে অগ্নিসংযোগ করে। এতে শিক্ষক উজ্জ্বল পাল ও আবদুল মালেকের মূলসনদসহ মেয়েদের খেলার সনদপত্র ও মেডেল, রেজ্যুলেশন বই, কারিগরি শাখার গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বাংলাদেশ নারী দলের কৃতী ফুটবলার মারিয়া, মার্জিয়া ও সানজিদাসহ বয়সভিত্তিক জাতীয় দলে কলসিন্দুর উচ্চমাধ্যমিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের ১০-১২ জন মেয়ে নিয়মিত খেলায় অংশগ্রহণ করছে। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানটি জাতীয়করণের প্রক্রিয়াধীন।


আরো সংবাদ



premium cement