চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার প্রস্তাব সংসদে নাকচ

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার জন্য সংসদ অধিবেশন সিদ্ধান্ত প্রস্তাব আনা হলে সেটি কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। গত রাতে সংসদের বেসরকারি দিবসে স্বতন্ত্র এমপি মো: রেজাউল করিম বাবলু প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন। তিনি সরকারি চাকরিতে ঢোকার বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করার প্রস্তাব আনেন।
তার এ সিদ্ধান্ত প্রস্তাবে ১০ জন সংসদ সদস্য সমর্থন দিয়ে সংশোধনী দেন।
এই প্রস্তাবের জবাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতির পরিস্থিতি এখন ভালো। এখন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় নিয়মিত পড়ালেখা হচ্ছে। সেশনজট হচ্ছে না। এ জন্য একজন শিক্ষার্থী শিক্ষাজীবন শেষ করার পর ৬ থেকে ৭ বছর পান। এই সময় তারা বহু চাকরির পরীক্ষার অংশ নিতে পারেন। তা ছাড়াও আমাদের সংবিধান ও চাকরির বিধিমালায় আছে চাকরিতে ন্যূনতম ২৫ বছর চাকরি না করলে পূর্ণ পেনশন পাবেন না। সুতরাং কেউ যদি ৩৭ বছরে চাকরিতে যোগ দেন। ২৫ বছর পূর্ণ করতে হলে তাকে ৬২ অথবা ৬৩ বছর বয়সে অবসরে যেতে হবে। কিন্তু বর্তমানে আমাদের অবসরে যাওয়ার সময় ৫৯ বছর। সুতরাং তাকে আরো তিন-চার বছর চাকরি করতে হবে। কিন্তু আইন অনুযায়ী সেই সুযোগ নেই। সরকারের আপাতত চাকরিতে প্রবেশের সময় বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। পরে প্রস্তাবটি ভোটে দিলে কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।