২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
আবরার হত্যা মামলা

সুপ্রভাত বাসের চালক মালিকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

-

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের শিক্ষার্থী আবরার আহাম্মেদ চৌধুরী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার মামলায় সুপ্রভাত বাসের মালিক-চালকসহ চারজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট প্রদান করা হয়েছে। গতকাল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুুলিশ পরিদর্শক শরিফুল ইসলাম দু’টি চার্জশিট ঢাকার সিএমএম আদালতে দাখিল করেন। দুই চার্জশিটে সাক্ষী করা হয়েছে ৩২ জনকে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা আবরার নিহত হওয়ার ঘটনায় বাসের কন্ডাক্টর ইয়াছির আরাফাত ও মালিক ননী গোপাল সরকারের বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ২৭৯/৩০৪/১০৯ ধারায় চার্জশিট দেন। অন্য দিকে, ঘটনায় জড়িত থাকার কোনো তথ্য-প্রমাণ না পাওয়ায় বাসের চালক সিরাজুল ইসলাম ও তার সহকারী ইব্রাহিম হোসেনকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে চার্জশিটে।
এ ছাড়া, পথচারী সিমথিয়া সুলতানা মুক্তাকে আহত করায় বাসের চালক সিরাজুল ইসলাম, তার সহকারী ইব্রাহিম হোসেন, কন্ডাক্টর ইয়াছির আরাফাত ও মালিক ননী গোপাল সরকারের বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ২৭৯/৩৩৮-ক/১০৯ ধারায় আরেকটি চার্জশিট দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। এ মামলায় কারাগারে। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন।
উল্লেখ্য-১৯ মার্চ সকাল ৭টার দিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন প্রগতি সরণি এলাকায় সুপ্রভাত (ঢাকা-মেট্রো-ব-১১-৪১৩৫) বাসের চাপায় বিইউপির শিক্ষার্থী আবরার আহাম্মেদ চৌধুরী নিহত হন। সেদিন রাতেই আবরারের বাবা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আরিফ আহাম্মেদ চৌধুরী বাদি হয়ে গুলশান থানায় মামলা করেন।
মামলায় আসামি করা হয় বাসের চালক সিরাজুল ইসলাম, হেলপার ইব্রাহিম হোসেন, কন্ডাক্টর ইয়াছির আরাফাত ও মালিক ননী গোপাল সরকারকে। মামলার ধারা পেনাল কোডের ২৭৯/ ৩৩৮ (ক)/৩০৪/ ও ১০৯। মামলা নং ৩০।
মামলায় বলা হয়, বাসটির চালক বেপরোয়া গতিতে বাড্ডার দিক থেকে প্রগতি সরণি রোড দিয়ে কুড়িলের দিকে যাওয়ার পথে গুলশান থানাধীন শাহাজাদপুরের বাঁশতলায় পথচারী সিমথিয়া সুলতানা মুক্তাকে (২০) চাপা দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। আবারো বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়ে গুলশান থানাধীন প্রগতি সরণিতে জেব্রা ক্রসিং পার হওয়ার সময় আমার ছেলে আবরারকে চাপা দেয়। এ সময় বাস তার মাথার ওপর দিয়ে চলে যায়। ফলে তার মাথা থেঁতলে মগজ বের হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে সে মারা যায়।


আরো সংবাদ



premium cement