২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

কাজী ভুয়া, কাবিন নামাও ভুয়া অথচ জেল খাটছেন ব্যবসায়ী

-

যে বিবাহ রেজিস্ট্রারের নাম উল্লেখ করা হয়েছে সরকারি নিবন্ধে ওই নামে কোনো রেজিস্ট্রার (কাজী) নেই। মামলার এজাহারে বাদির যে ঠিকানা উল্লেখ আছে, ওই ঠিকানায় ওই নামের কোনো নারী কোনো দিন ছিলেন না। আদৌ ওই নামে কোনো নারী আছেন কি না তা নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। অথচ তার দায়ের করা যৌতুক মামলায় জেল খাটছেন বরিশালের ব্যবসায়ী সাজ্জাদুল হক সাজু।
বরিশালের কোতোয়ালি থানা পুলিশ সাজুকে (৩৫) গত ১৫ এপ্রিল গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর তিনি জানতে পারেন, রুনা এক নারী তার স্ত্রী দাবি করে তার বিরুদ্ধে যৌতুক মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ওই দিন বরিশাল মহানগর পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের ডিসি ও কোতোয়ালি থানার ওসির সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, সাজুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা আছে। ওই পরোয়ানা বলেই সাজুকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ২০১৫ সালে রুনাকে সাজু বিয়ে করেছে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়। এজাহারে উল্লেখ করা হয় বিয়ের পর সাজু তার কাছে যৌতুক দাবি করে আসছিল। যৌতুক না দেয়ায় তাকে মারধর করা হয়। ওই মামলায় আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
সাজুর পরিবার জানায়, সাজু বরিশালে ব্যবসা করেন। সেখানে তাদের পরিবারের একাধিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানগুলো দেখাশোনা করেন এবং স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের সাথেই বসবাস করেন। তিনি বর্তমানে বরিশাল জেলহাজতে রয়েছেন।
এ দিকে সাজুর বিরুদ্ধে মামলার এই বিষয়ে খোঁজ নেয়া শুরু করেন তার বাবা মাসুদুল হক এনাম। তিনি আদালতে গিয়ে মামলার নথিপত্র উদ্ধার করে সেই নথি অনুযায়ী বিয়ের কাবিন নামা সংগ্রহ করেন। ওই কাবিন নামায় বিয়ে রেজিস্ট্রি অফিস হিসেবে উল্লেখ রয়েছে লালমাটিয়া রেজিস্ট্রি অফিস। কাজীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে গোলাম কিবরিয়া। লালমাটিয়া রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই নামে সেখানে কোনো বিবাহ রেজিস্ট্রার (কাজী) নেই। আর যে কাবিন নামা দেয়া হয়েছে তা রেজিস্টারে উল্লেখ নেই। ওই এলাকার কাজী ইউসুফ চৌধুরী বলেছেন, বিয়ে এবং কাজী দু’টোই ভুয়া। ঢাকা জেলা রেজিস্ট্রার দীপক কুমার সরকার বলেছেন, এরকম কিছু ভুয়া বিবাহ ও তালাক প্রায়ই তাদের কাছে আসে। এর সাথে একটি সিন্ডিকেট জড়িত।
রুনার ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে, কেরানীগঞ্জের আরশিনগরের বি ব্লকের এক নম্বর রোডের ৫ নম্বর হোল্ডিংয়ে। ওই ঠিকানার আদৌ কোনো অস্তিত্ব নেই। আরশিনগরের প্রধান সড়কটিই অলিখিতভাবে এক নম্বর সড়ক হিসেবে গণ্য হয়। কিন্তু সেখানে কোনো ব্লক নম্বর বা হোল্ডিং নম্বর নেই। ওই এলাকার বেশ কিছু বাড়িতে ঘুরে রুনা ও তার পরিবারের সন্ধান করা হয়। কিন্তু ওই নামে ওই এলাকায় কোনো নারীকে পাওয়া যায়নি।
সাজুর আইনজীবী কামাল বিশ^াস বলেছেন, নিয়ম অনুযায়ী আবেদনকারী রুনার ভোটার পরিচয়পত্র দেয়ার কথা। কিন্তু কেস ডকুমেন্টে ওই পরিচয়পত্র বা আবেদনকারীর কোনো ছবি নেই। মামলার নথিতে আবেদনকারিণীর আইনজীবীর স্বাক্ষর রয়েছে। কিন্তু আইনজীবীকেও এখনো শনাক্ত করা যায়নি।
সাজুর বাবা গতকাল নয়া দিগন্তকে বলেন, তাদের পরিবার এখন খুব অস্থিরতার মধ্যে আছেন। এমন একটি মামলায় তার ছেলে এখন জেল খাটছেন, যার অভিযোগের কোনো অস্তিত্বই নেই। তিনি বলেন, তিনি নিজেও বাদিকে খুঁজছেন। কিন্তু কোনো অস্তিত্ব পাচ্ছেন না।


আরো সংবাদ



premium cement
জাতিসঙ্ঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থাকে আবার অর্থায়ন শুরু করবে জাপান শেখ হাসিনার অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে : ওবায়দুল কাদের রাশিয়া সমুদ্র তীরবর্তী রিসোর্টে ১৬.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে সিরিয়ায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৩৬ সেনা সদস্য দৌলতদিয়া ঘাটে পন্টুন থেকে নদীতে পড়ে যুবকের মৃত্যু অ্যানেসথেসিয়ার পুরনো ওষুধ বাতিল করে কেন নতুনের জন্য বিজ্ঞপ্তি! বাইডেনের মেয়াদে রুশ-মার্কিন সম্পর্কের উন্নতির কোনো আশা নেই : রুশ রাষ্ট্রদূত ডিএমপির অভিযানে গ্রেফতার ৪০ নিউইয়র্কে মঙ্গোলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ফ্ল্যাট জব্দ করবে যুক্তরাষ্ট্র! টাঙ্গাইলে লরি-কাভার্ডভ্যান সংঘর্ষে নিহত ১ জিম্বাবুয়ে সিরিজে অনিশ্চিত সৌম্য

সকল