২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বাসচালকের খামখেয়ালিতে গুরুতর আহত শিক্ষক জসিম

-

বাসচালক ও সুপারভাইজারের খামখেয়ালির কারণে অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন স্কুলশিক্ষক জসিম উদ্দিন। গুরুতর আহত অবস্থায় বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সূত্র জানায়, রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে অবস্থিত ভাষা আন্দোলন স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিন এবং তার ভাই আলাউদ্দিন কচি তাদের গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটের রায়েন্দা থেকে গত ১৭ মার্চ ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। তারা গ্রামীণ সার্ভিস প্রাইভেট লিমিটেডের একটি বাসে (বাস নম্বর ৯৩৪৩) ওঠেন। পথিমধ্যে বেলা আড়াইটার দিকে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের নিমতলা এলাকায় জসিম উদ্দিন অসুস্থ বোধ করেন। তারা বিষয়টি গাড়ির সুপারভাইজারকে জানান এবং যথাযথ স্থানে গাড়ি রাখার অনুরোধ করেন। কিন্তু গাড়ির সুপারভাইজার তাদের কথা আমলে না নিয়ে উল্টো তাদের বিভিন্ন কথা শোনান। পরে তারা গাড়ির চালককে অনুরোধ করেন। কিন্তু চালকও আমলে নেয়নি।
কিছুক্ষণ পর জসিম উদ্দিন আরো অসুস্থ বোধ করেন এবং সহ্য করতে না পেরে তারা আবার গাড়ির চালককে অনুরোধ করেন। এ ঘটনার প্রায় ১৫ মিনিট পর চালক রাস্তার উল্টো পাশে একটি পেট্রল পাম্পের কাছে গাড়ি থামান। গাড়ির সুপারভাইজার তাদের তাড়াহুড়ো করে গাড়ি থেকে নেমে যেতে বাধ্য করেন। সুপারভাইজারের তাড়ার কারনে জসিম উদ্দিন গাড়ি থেকে নামতে গেলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিকআপ তাকে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। এতে গুরুতর আহত হন তিনি। এ সময় তাদের বাস চালককে (গ্রামীণ সার্ভিস) হাসপাতালে নেয়ার জন্য সাহায্য চাইলে এগিয়ে না এসে উল্টো তাদের মালামাল নিয়ে দ্রুত চলে যায়। কোনো উপায় না পেয়ে আলাউদ্দিন স্থানীয় লোকদের সহায়তায় ভাইকে প্রথমে স্থানীয় স্বদেশ হসপিটালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন এবং দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন।
জসিম উদ্দিন প্রাণে বেঁচে গেলেও তিনি মাথায়, হাতে ও বুকে প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছেন। তার বুকের ডান দিকের দুটি হাড় ভেঙে গেছে ও কাঁধের ডান দিকের হাড়ের জয়েন্ট সরে গেছে। এ ঘটনায় জসিম উদ্দিনের পরিবার মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা যায়।


আরো সংবাদ



premium cement