২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

পদ্মা সেতুর নবম স্প্যান বসবে আজ, দুই প্রান্তে দৃশ্যমান হবে ১৩৫০ মিটার

-

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে ৩৪ ও ৩৫ নম্বর পিলারের ওপর নবম স্পেন বসানো হবে আজ বৃহস্পতিবার। গতকাল বুধবার মুন্সীগঞ্জের কুমারভোগ থেকে সকাল পৌনে ৯টার দিকে রওনা হয়ে শক্তিশালী ভাসমান ক্রেন তিয়ান-ই এর মাধ্যমে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের নবম স্প্যানটি দুপুর ১২টার দিকে জাজিরা প্রান্তে এসে পৌঁচেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে যেকোনো সময় ৩৪ ও ৩৫ নম্বর পিলারের ওপর স্প্যানটি বসানো হবে বলে সেতু বিভাগের প্রকৌশলী সূত্র জানিয়েছে। জাজিরার নাওডোবা প্রান্তে অষ্টম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয়েছে ১২০০ মিটার। এ ছাড়াও গত বছরের মাওয়া পয়েন্টে ৪ ও ৫ নম্বর পিলারের ওপর আরেকটি স্পেন বসানো হয়। ফলে সেতুর দুই প্রান্তে দৃশ্যমান হবে এক হাজার ৩৫০ মিটার দৃশ্যমান হবে।
সেতু বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারের ওপর প্রথম স্প্যান, ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি ৩৮ ও ৩৯ নম্বর পিলারের ওপর দ্বিতীয় স্প্যান, ১১ মার্চ ৩৯ ও ৪০ নম্বর পিলারের ওপর তৃতীয় স্প্যান, ১৩ মে ৪০ ও ৪১ নম্বর পিলারের ওপর চতুর্থ স্প্যান, ২৯ জুন ৪১ ও ৪২ নম্বর পিলারের ওপর পঞ্চম স্প্যান, ২৩ জানুয়ারি ২০১৯ ৩৬ ও ৩৭ বসানো হয় ষষ্ঠ স্প্যান এবং সর্বশেষ ২০ ফেব্রুয়ারি জাজিরার নাওডোবা প্রান্তে সপ্তম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে জাজিরা প্রান্তে ১০৫০ মিটার ও মুন্সীগঞ্জ প্রান্তের ৪ ও ৫ নম্বর পিলারের ওপর বসানো একটি স্প্যানসহ এখন দৃশ্যমান হয় ১২০০ মিটার। সেতুর নবম স্পেন বসানো হলে দুই প্রান্তে দৃশ্যমান হবে এক হাজার ৩৫০ মিটার।
৪২টি খুঁটির ওপর এমন ৪১টি স্প্যানের সাহায্যে পদ্মার বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। প্রতিটি স্পেনের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার। ৪২টি পিলারের ওপর ৪১টি স্পেন বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে ২১টি পিলার ইতোমধ্যে দৃশমান হয়েছে। সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাথে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বেড়ে যাবে কয়েকগুণ। নবম স্প্যানটি বসানোর সংবাদে পদ্মাপাড়ের মানুষের মধ্যে ব্যাপকভাবে উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। আর এ সেতুর কাজ শেষ হলে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের সাথে পুরো দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি হবে। দেশের অর্থনৈতিতে নতুন মাত্রা যোগ হবে। পদ্মা সেতুর দুই পাড়ে গড়ে উঠবে আধুনিক কল কারখানা। শ্রমজীবী মানুষের ব্যাপক কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি হবে। সর্বক্ষেত্রে ব্যবসায় বাণিজ্যের ব্যাপক প্রসার ঘটবে সেতুর জাজিরা প্রান্তে। এরই মধ্যে এপ্রোজ সড়ক দিয়ে গাড়ি চলাচল শুরু করেছে। টোল প্লাজার নির্মাণকাজ শেষ করেছে সেতু বিভাগ। দোতলা এ সেতুর নিচ তলায় চলবে ট্রেন। স্থাপন করা স্পেন গুলোয় এখন রেলের স্লাব বসানো কাজ চলছে। জাজিরা প্রান্তের স্পেন গুলোয় ১২৮টি স্লাব বসানো হয়েছে। পুরো সেতুর দুই হাজার ৯৫৯টি স্লাব বসানো হবে। মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়াডে স্পেন ও স্লাব বসানোর কাজ চলছে।


আরো সংবাদ



premium cement