১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আশার ঋণ দেয়ার কথা বলে নিয়ে জেএমবি সংশ্লিষ্টতার মামলায় আ’লীগ কর্মীকে গ্রেফতার

-

রংপুর সদর উপজেলার মমিনপুর ইউনিয়নের মুটুকপুরের বাসিন্দা শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মেজর জয়নাল আবেদীনের জেঠাতো ভাই ইউনিয়ন আ’লীগের সদস্য এবং সদর উপজেলা আ’লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য কামরুজ্জামান কামুকে আশার ঋণ দেয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে জেএমবির মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেফতারের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি জানিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে নিজ বাড়িতে তার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কামুর দুই ভাই মুক্তিযোদ্ধা ডা: শামসুল আলম শাহ ও মুক্তিযোদ্ধা ডা: নজরুল ইসলাম।
ডা: শামসুল আলম শাহ জানান, গত ১৩ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় আমার ছোট ভাই রাজমিস্ত্রি কামরুজ্জামান কামু আসরের নামাজ পড়ে সদর উপজেলা আ’লীগ মনোনীত প্রার্থী নাছিমা জামান ববির মমিনপুরে নির্বাচনী সভায় যাওয়ার কথা। এ সময় কিছু লোক এসে আমার ভাইকে আশার ঋণ দেয়ার বিষয়ে আলাপ করতে চায়। তাদেরকে বসার জন্য চেয়ার দেয় পরিবারের সদস্যরা। ইতোমধ্যে আমাদের সাথে জমি নিয়ে বিরোধে থাকা আনিছুল ইসলাম আমার ভাইকে শার্টের কলার ধরে বাইরে এনে তাদের হাতে তুলে দেয়। তারা নিজেদের আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর পরিচয় দিয়ে কামুকে নিয়ে যায়। আমি র্যাব, পুলিশসহ বিভিন্ন সেক্টরে যোগাযোগ করি। তারা কেউ আমার ভাইয়ের বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়নি। একপর্যায়ে মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারি আমার ভাইকে সন্দেহভাজন জেএমবি সদস্য হিসেবে তারাগঞ্জ থানার একটি মামলায় (মামলা নং-০২, ০৮/০১/২০১৯) গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তার কাছ থেকে বই, লিফলেট, মোবাইল ফোন ও সিমকার্ড উদ্ধার হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে কামরুজ্জামান কামুর আরেক ভাই মমিনপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ডা: নজরুল ইসলাম বলেন, আনিছুলের সাথে আমাদের দীর্ঘ দিনের জমি নিয়ে বিরোধের কারণেই আমার ছোট ভাই কামুকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে। তিনি সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন এবং কামুর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে কামরুজ্জামান কামুর স্ত্রী, দুই শিশুসন্তানসহ স্থানীয় এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে কামুর সপ্তম শ্রেণী পড়–য়া মেয়ে কেয়া এবং তৃতীয় শ্রেণী পড়–য়া মেয়ে নূপুর জানায়, আমার বাবাকে মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা আমাদের বাবার নিঃশর্ত মুক্তি চাই।
কামুর স্ত্রী নাজিরা খাতুন জানান, আমার নির্দোষ নিরীহ স্বামীকে জায়নামাজ থেকে আনিছুল ধরে নিয়ে গিয়ে পুলিশের হাতে দিয়েছে। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও আমার স্বামীর নিঃশর্ত মুক্তি চাই।
এ ব্যাপারে তারাগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: জিন্নাত আলী বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাবের একটি টিম কামরুজ্জামানকে গ্রেফতার করেছে। আমরা মামলাটি তদন্ত করছি। বর্তমানে কামরুজ্জামান জেলহাজতে আছেন।


আরো সংবাদ



premium cement