২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ডায়াবেটিস রোগীদের ৪০ ভাগই কিডনি রোগী

-

উন্নত অনেক দেশে ক্যাডাভারিক প্রক্রিয়ায় বা মৃত ব্যক্তির দেহ থেকে কিডনি নিয়ে ৭০-৮০ ভাগ কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট হয়। অথচ বাংলাদেশের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ আইনে এতে কোনো বাধা না থাকলেও এত বছরেও তা সম্ভব হয়নি। এ দেশে শতভাগ কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট হয় জীবিত নিকটাত্মীয়ের দেহ থেকে কিডনি বিযুক্ত করে। ফলে ডোনার সঙ্কটে প্রতি বছর মারা যাচ্ছে ৪০ হাজার কিডনি বিকল রোগী। আশার কথা, এবার তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এই মুহূর্তে মৃতব্যক্তির কিডনি সংযোজন বিষয়ে অভিজ্ঞ কোরিয়ান ট্রান্সপ্ল্যান্ট টিম বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, বিএসএমএমইউ, বারডেম হাসপাতাল, সিএমএইচ, নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালসহ বিভিন্ন ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) কোনো মুমূর্ষু রোগীর ব্রেইন ডেইথ ঘোষণা হলে এবং রোগীর নিকটাত্মীয়ের সম্মতি পেলে তারা প্রথমবারের মতো দেশে ক্যাডাভারিক কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট শুরু করবেন। আর এটা সম্ভব হলে তা হবে কিডনি বিকল রোগীদের বেঁচে থেকে স্বাভাবিক জীবনযাপন করার মতো একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
গত শনিবার রাজধানীর মিরপুরে কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিটে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তারা এ তথ্য দেন। সম্মেলনটির যৌথ আয়োজক কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট, রয়্যাল লন্ডন হসপিটাল, কোরিয়ার আনাম ইউনিভার্সিটি, ভাইটালিঙ্ক কোরিয়া, আমেরিকা ওয়াইনি স্টেট ইউনিভার্সিটি ও ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অব নেফ্রোলজি (আইএসএন)।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা, জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব:) আবদুল মালিক। বিশেষ অতিথি থেকে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির (বাডাস) সভাপতি অধ্যাপক ডা: এ কে আজাদ খান। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কিডনি ফাউন্ডেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা: এম এ ওয়াহাব, মহাসচিব অধ্যাপক ডা: এম মুহিবুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক টিনি ফেরদৌস রশিদ প্রমুখ। এতে দেশ-বিদেশের প্রায় চার শতাধিক কিডনি ও ইউরোলজি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অংশ নেন। কিডনি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ডা: হারুন অর রশিদ জানান, বাংলাদেশে ডায়াবেটিস রোগীদের ৪০ ভাগ আক্রান্ত হচ্ছে কিডনি রোগে। নীরব ঘাতক এই ডায়াবেটিস কিডনির ক্ষতি করছে কোনো উপসর্গ ছাড়াই। অনেকের কিডনি পরিপূর্ণ বিকল হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে ব্যাপক হারে বাড়ছে কিডনি রোগী। অথচ উন্নত বিশ্ব ও পাশের দেশ ভারতেও কিডনি রোগের উন্নতমানের চিকিৎসাব্যবস্থা চালু আছে। কিন্তু আমরা অনেক পিছিয়ে রয়েছি।’
জাতীয় অধ্যাপক ব্রি. (অব:) আব্দুল মালেক বলেন, স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়া, পুষ্টিকর ও সুষম খাবার পরিমিত গ্রহণ, নিয়মিত কায়িক পরিশ্রম করলে সুস্থ থাকা এবং কিডনি সুস্থ রাখা যায়।
গতকাল একই মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দেশে প্রথমবারের মতো কিডনি রোগীদের পুষ্টি ব্যবস্থাপনাবিষয়ক স্বতন্ত্র কর্মশালা। এতে দেশের পুষ্টিবিদেরা অংশ নেবেন। আয়োজকেরা জানান, কিডনি নিউট্রিশনিস্ট বিদেশে আলাদা থাকলেও বাংলাদেশে নেই। বাংলাদেশী ক্রনিক কিডনি রোগী এবং ডায়ালাইসিস রোগীদের পুষ্টিব্যবস্থাপনা বিষয়ে এই সেমিনারের আয়োজন। এ ছাড়াও অনুষ্ঠিত হবে ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগ, গর্ভকালীন কিডনি রোগ বিষয়ে আলাদা কর্মশালা।


আরো সংবাদ



premium cement
আওয়ামী লীগকে ‘ভারতীয় পণ্য’ বললেন গয়েশ্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে দাগনভুঞার যুবক নিহত কাশ্মিরে ট্যাক্সি খাদে পড়ে নিহত ১০ অবশেষে অধিনায়কের ব্যাপারে সিদ্ধান্তে পৌঁছল পাকিস্তান জাতিসঙ্ঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থাকে আবার অর্থায়ন শুরু করবে জাপান শেখ হাসিনার অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে : ওবায়দুল কাদের রাশিয়া সমুদ্র তীরবর্তী রিসোর্টে ১৬.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে সিরিয়ায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৩৬ সেনা সদস্য দৌলতদিয়া ঘাটে পন্টুন থেকে নদীতে পড়ে যুবকের মৃত্যু অ্যানেসথেসিয়ার পুরনো ওষুধ বাতিল করে কেন নতুনের জন্য বিজ্ঞপ্তি! বাইডেনের মেয়াদে রুশ-মার্কিন সম্পর্কের উন্নতির কোনো আশা নেই : রুশ রাষ্ট্রদূত

সকল