জাবিতে নিয়োগ বাণিজ্য, র্যাগিং ও অবৈধ অস্ত্র নিয়ে শিক্ষকদের উদ্বেগ প্রকাশ
- জাবি সংবাদদাতা
- ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০
জাবিতে নিয়োগ বাণিজ্য, র্যাগিং ও অবৈধ অস্ত্রের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সম্মিলিত শিক্ষক সমাজ। রোববার বিকেল ৩টায় ক্যাম্পাসের বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনের বিদায়ী ও বর্তমান নেতার সমর্থকদের মধ্যকার বিবাদে আগ্নেয়াস্ত্রের ঝনঝনানিতে ক্যাম্পাস প্রকম্পিত হয়েছে। আহত হয়েছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। আমরা গণমাধ্যমের মারফত জানতে পেরেছি নিয়োগ বাণিজ্যের টাকার ভাগাভাগি নিয়ে এ বিবাদ। দীর্ঘদিন ধরে এই বিবাদের সূত্রপাত হলেও বিষয়টি জিইয়ে রেখে প্রশাসনের ভ্রান্তনীতির কারণেই আজকের এ পরিস্থিতির জন্ম দিয়েছে। এ সহিংসতা ও অস্ত্রের ঝনঝনানির বিষয়টি ক্যাম্পাসে নবাগত শিক্ষার্থী ও স্বজনদের মাঝে ভয়ের সঞ্চার করছে এতে কোনো সন্দেহ নেই।
এ ছাড়াও বছরের পর বছর ধরে র্যাগিং নামক নির্যাতন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও মুক্তচিন্তার পরিবেশ নষ্ট করেছে। গণরুম, ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জনপরিসর ও বিভাগগুলোতে এ নির্যাতন চালানো হয়। গালিগালাজ, মানসিক নির্যাতন এমনকি যৌন নিপীড়নও হয়ে থাকে। কখনো কখনো এই নিপীড়নের সাথে রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাশালীরা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকে। এ নিপীড়নের প্রভাব শিক্ষার্থীদের একাডেমিক জীবনেও পড়ে থাকে। এমনটা চলতে থাকলে সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে। আমরা তীব্র ক্ষোভ ও লজ্জার সাথে লক্ষ করছি বছরের পর বছর এমন নিপীড়ন বিরাজমান থাকা সত্ত্বেও প্রশাসন র্যাগিং বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
তিনি আরো বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে প্রাক্তন ৩৯ ও ৪০ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা রয়েছে। এমনও শুনা যাচ্ছে বহিরাগত ঝুট ব্যবসায়ীরাও হলে সিট নিয়ে থাকছে। অন্যদিকে নবীন শিক্ষার্থীরা গণরুমে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এ ঘটনাগুলো প্রশাসনের অদক্ষতারই ন্যক্কারজনক নজীর।
এ ছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে সম্মিলিত শিক্ষক সমাজের আহ্বায়ক অজিতকুমার মজুমদার, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক শামছুল আলম সেলিম ও সদস্য সচিব অধ্যাপক জামালউদ্দিন রুনু, অধ্যাপক সোহেল আহমেদ, অধ্যাপক কৌশিক সাহা, অধ্যাপক আলমগীর কবির ও অধ্যাপক নুরুল ইসলাম। তাদের বক্তব্যে ক্যাম্পাসের আরো কয়েকটি বিষয়ের দ্রুত সুরাহার দাবি জানান। বিষয়গুলো হলো দ্রুত জাকসু নির্বাচন ও ডিন নির্বাচন দিতে হবে। মেয়াদ উত্তীর্ণ সকল নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত নতুন নতুন নিয়োগ স্থগিত রাখতে হবে,নিয়োগ বাণিজ্য নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে তার জন্য তদন্ত সেল গঠন করা এবং প্রশাসনিক পদে থাকা সকল মেয়াদ উত্তীর্ণদের সরিয়ে দিবে হবে।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা