টঙ্গীতে রাষ্ট্রায়ত্ত কাদেরিয়া টেক্সটাইল মিলের অপমৃত্যু
- টঙ্গী সংবাদদাতা
- ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০৭
টঙ্গীতে রাষ্ট্রায়ত্ত কাদেরিয়া টেক্সটাইল মিলের অপমৃত্যু ঘটতে যাচ্ছে। আজ বুধবার দরপত্র গৃহীত হলে মিলটি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। মিলটি পুনরুজ্জীবিত না করে বরং গত ১৭ জানুয়ারি মিলের যাবতীয় সম্পদ ও মালামাল বিক্রয়ের দরপত্র আহ্বান করে কর্তৃপক্ষ। গতকাল মঙ্গলবার দরপত্র দাখিলের শেষ দিনে সরকারি দলের একটি গ্রুপ অপর গ্রুপকে শিডিউল জমা দিতে বাধা দিলে মিলটিতে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
জানা গেছে, বিএমআরই (ব্যালেন্সিং, আধুনিকায়ন ও প্রতিস্থাপন) করা রাষ্ট্রায়ত্ত লোকসানি কাদেরিয়া টেক্সটাইল মিল বিগত ২০০৩ সালে গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের (স্বেচ্ছাবসর) আওতায় বন্ধ করে দেয়া হয়। এর পর বেশ কয়েক বছর সার্ভিস চার্চ ভিত্তিতে (ভাড়ায়) মিলের উৎপাদন পরিচালিত হতো। পরে সার্ভিস চার্চ ভিত্তির উৎপাদনও বন্ধ করে দেয়া হয়। এর পর থেকে সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে মিলটির যাবতীয় যন্ত্রাংশ মরিচা পড়ে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় মিলটিকে উৎপাদনমুখী করার পরিকল্পনা বাদ দিয়ে বরং বিভিন্ন অবকাঠামো ও খোলা জায়গা এমনকি খেলার মাঠ অন্যত্র ভাড়া দিয়ে নিজস্ব অত্যাবশকীয় জনবলের খরচ মেটানো শুরু করে কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে মিলের যাবতীয় অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করার পর মিলের যাবতীয় স্থাবর সম্পত্তি একটি শিল্প গোষ্ঠীর কাছে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে ভাড়া দেয়ার প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত বলে জানা গেছে।
কাদেরিয়া টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক মো: মোজাফফর হোসেন জানান, মঙ্গলবার পৃথক তিনটি স্থানে শিডিউল জমা পড়েছে। তার দফতরে রক্ষিত বাক্সে মঙ্গলবার সাতটি দরপত্র জমা পড়েছে। কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির আশঙ্কা নাই দাবি করে তিনি বলেন, পুলিশ আনা হয়েছে; বুধবার দরপত্র খোলার সময়ও পুলিশ থাকবে। কাজেই অপ্রীতিকর কোনো ঘটনার আশঙ্কা নেই। শিডিউল জমায় বাধা দানের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, মিলের ভেতরে এমন কিছু ঘটেনি। বাইরে কিছু হাঙ্গামার খবর পেয়েছি। তবে সেটিও মিট হয়ে গেছে বলে শুনেছি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা