২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রতি জাপানের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত

-

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সাথে নিপ্পন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) কুষ্ঠ নির্মূলবিষয়ক শুভেচ্ছা দূত ও মিয়ানমারে জাতীয় মীমাংসাবিষয়ক জাপান সরকারের বিশেষ দূত ইওহেই সাসাকাওয়া সৌজন্য সাাৎ করে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রতি জাপানের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
গতকাল সোমবার স্পিকারের সংসদ ভবনের কার্যালয়ে এ সাাৎকালে তারা বাংলাদেশ জাপান দুইপীয় সম্পর্ক, কুষ্ঠরোগ নির্মূলে পারস্পরিক সহযোগিতা এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় বাংলাদেশে ডব্লিউএইচওর আবাসিক প্রতিনিধি ও বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোইয়াসু ইজুমি উপস্থিত ছিলেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জাপানের সাথে বাংলাদেশের বন্ধুত্বের সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা লাভের পর জাপানের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন। পথ পরিক্রমায় এ সম্পর্ক আজ অত্যন্ত সুদৃঢ়। ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক আরো জোরদার হবে। স্পিকার বলেন, বর্তমান সরকার ১৯৯৬ সাল থেকে কুষ্ঠ রোগ নির্মূলে কাজ করছে। কুষ্ঠরোগ নির্মূলে জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দিতে বাংলাদেশ সরকার কাজ করছে।
জাপানের বিশেষ দূত বলেন, এ ধরনের রোগ বর্তমানে বাংলাদেশে সহজে নিরাময়যোগ্য। কুষ্ঠ নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের সাফল্য প্রসংশনীয়। তিনি কুষ্ঠরোগ নির্মূলে জনসচেতনতা বৃদ্ধি নিয়ে বাংলাদেশ ও ডব্লিউএইচওর যৌথ উদ্যোগে একটি আন্তর্জাতিক কনফারেন্স আয়োজনের বিষয়ে স্পিকারকে অবহিত করেন। এ কনফারেন্স আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতি রয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বর-আক্টোবরে সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশে এ কনফারেন্স আয়োজন করা হবে।
ইওহেই সাসাকাওয়া বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া অবশ্যই বেগবান করতে হবে। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে জাপান। ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদারতার পরিচয় দিয়ে মানবতার যে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement