২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

হোলে আর্টিজান মামলায় রেস্তোরাঁ মালিকের সাক্ষ্য

-

গুলশানে হোলে আর্টিজান রেস্তোরাঁয় বোমার শব্দে পুরো বিল্ডিং কেঁপে ওঠে। গতকাল রেস্তোরাঁর মালিক সাদাত মেহেদী ঘটনার বিষয়ে সাক্ষ্যে এ কথা বলেন। তার সাক্ষ্য ঢাকায় সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল বিচারক মো: মজিবুর রহমান গ্রহণ করেন। জবানবন্দীতে তিনি আরো বলেন, হোলে আর্টিজান রেস্তোরাঁয় গোলাগুলির শব্দ শুনে আমি সেখানে যাই। তখন দুইটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। এ অবস্থায় কী করব ঠিক পাচ্ছিলাম না। যুদ্ধের মতো অবস্থা শুরু হয়ে যায়। এই সাক্ষীর জবানবন্দী শেষে এ মামলায় আরো তিনজন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। এরা হলেন সাদাত মেহেদীর স্ত্রীর গৃহকর্মী সামিরা আহম্মেদ, লেকভিউ কিনিকের ক্যান্টিনের ম্যানেজার আব্দুল হাকিম ও হোলে আর্টিজানের শেফ মো: আকাশ খান।
সাক্ষীদের মধ্যে সামিরা আহম্মেদ ও আকাশ খান ট্রাইব্যুনাল শুধু নাম ঠিকানা লেখার পর রাষ্ট্রপক্ষ তাদের টেন্ডার ঘোষণা করেন।
সাদাত মেহেদী জবানবন্দীতে বলেন, ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাত সাড়ে ৮টার দিকে হোলে আর্টিজান রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার সেজাদ আমাকে ফোন দেয়। সে আমাকে জানায়, রেস্টুরেন্টের ভেতর দুর্বৃত্তরা ‘আল্লাহু আকবর’ বলে গোলাগুলি করছে। তখন আমি আরেকটি রেস্টুরেন্ট ইজুগিতে ছিলাম। তখন আমি সাথে সাথে হোলে আর্টিজানে ছুটে যাই। সেখানে গিয়ে পুলিশের গাড়ি দেখতে পাই। আমি সেখানে যাওয়ার পর বিকট শব্দে একটা বোমা ফোটে। এরপর আমার সামনে দিয়ে আহত দুইজনকে পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর আবার গোলাগুলি শুরু হয়। আমি সেখানে থাকা অবস্থায় দুইটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। বোমার শব্দে বিল্ডিংগুলো কেঁপে ওঠে। তখন কে কী করবে ঠিক পাচ্ছিল না। সেখানে অবস্থানরত পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের কাছে রেস্টুরেন্টের ভেতরে কার কোথায় অবস্থান তা বর্ণনা করি। এরপর সকালে সেনাবাহিনীর অভিযানের কথা শুনতে পাই। ওই ঘটনায় আমার পাঁচজন কোজ ফ্রেন্ড মারা যায়। আর ৯ জন ইতালি, সাতজন জাপানি, তিনজন বাংলাদেশী এবং একজন ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যু হয়।
এ নিয়ে মামলাটিতে ১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো। মামলাটিতে গত ২৬ নভেম্বর আট আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
আসামিরা হলো তামিম চৌধুরীর সহযোগী আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা ওরফে র‌্যাশ, হাদিসুর রহমান সাগর, জানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী, আব্দুস সবুর খান হাসান ওরফে সোহেল মাহফুজ, শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ।
আসামিদের মধ্যে প্রথম ছয়জন কারাগারে আছে। এদিন তাদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার অপর দুই আসামি পলাতক রয়েছে।
উল্লেখ্য মামলার পলাতক আসামি মামুনুর রশিদকে গত ১৯ জানুয়ারি রাতে গাজীপুরের বোর্ডবাজারে একটি বাস থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এরপর তাকে রাজধানীর সবুজবাগ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বর্তমানে সে রিমান্ডে রয়েছে। এখন পর্যন্ত তাকে হোলে আর্টিজান রেস্টুরেন্টে জঙ্গি হামলা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়নি। মামলায় গত ৮ আগস্ট আট আসামির বিরুদ্ধে দাখিল করা চার্জশিট গ্রহণ করেন আদালত। চার্জশিটে নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটির সাবেক শিক্ষক হাসনাত রেজা করিমের বিরুদ্ধে ওই ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে তথ্য-প্রমাণ না পাওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়। গত ২৩ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম বিভাগের পরিদর্শক হুমায়ূন কবির আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।


আরো সংবাদ



premium cement
ডিএমপির অভিযানে গ্রেফতার ৩৭ বাংলাদেশে নতুন করে বাড়ছে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা হিট অ্যালার্ট নিয়ে আবহাওয়া অধিদফতরের নতুন বার্তা ভান্ডারিয়ায় পিকআপ চাপায় বৃদ্ধ নিহত হোচট খেল লিভারপুল, পিছিয়ে গেল শিরোপা দৌড়ে যোদ্ধাদের দেখতে প্রকাশ্যে এলেন হামাস নেতা সিনওয়ার! ফের পন্থ ঝড়, ঘরের মাঠে গুজরাটকে হারাল দিল্লি ইউক্রেনকে গোপনে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র গ্রেফতারের পর যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফিলিস্তিনপন্থীদের বিক্ষোভ আরো বেড়েছে ইউক্রেন যুদ্ধে দুর্নীতি, পুতিনের নির্দেশে গ্রেফতার রুশ উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী!  আমেরিকানরা কি ধর্ম থেকে সরে যাচ্ছে?

সকল