১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রাস্তার পাশের জায়গাগুলো সামাজিক বনায়নের আওতায় আনা হচ্ছে

-

দারিদ্র্যবিমোচনের স্বার্থেই সামাজিক বনায়নকার্যক্রম জোরদার করা হবে। প্রয়োজনে সড়কপথ ও রেলপথগুলোর পাশে পরিত্যক্ত জায়গাগুলো সামাজিক বনায়নের আওতায় নিয়ে আসার জন্য চেষ্টা করা হবে।
মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর বন অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো: শাহাব উদ্দিন এ কথা বলেন। মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর গতকালই প্রথম বন অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন তিনি। মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন : পরিবেশ, বন ও জলাবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, এমপি এবং পরিবেশ, বন ও জলাবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী।
মতবিনিময়ে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলা করে উন্নত দেশ গড়ার প্রত্যয়ে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান মন্ত্রী। মতবিনিময়কালে বন বিভাগের কর্মকর্তারা বিগত দশ বছরের বর্তমান সরকারের অর্জিত সাফল্য এবং কার্যক্রম উপস্থাপন করেন। পরে মন্ত্রী চলমান কার্যক্রমের সব প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে কার্যক্রম বাস্তবায়নে নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি আরো বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করতে হবে। ২০২১ সালের মধ্যে বনভূমি বাড়ানোর যে লক্ষ্যমাত্রা আমরা নির্ধারণ করেছি, যেকোনো মূল্যে তা অর্জন করতে হবে। উপজেলাপর্যায়ে যে নার্সারিগুলো আছে তার জন্য স্থায়ীভাবে স্থান বরাদ্দের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে চিঠি লেখা হবে। বন বিভাগের দখলকৃত জমির হালনাগাদ তালিকা প্রস্তুত করে তা পুনরুদ্ধারের ব্যবস্থা করা হবে বলে মন্ত্রী জানান। নতুন করে কোনো জায়গা যাতে বেদখল না হয় সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য তিনি কর্মকর্তাদের কড়া নির্দেশনা প্রদান করেন।
সুন্দরবনের পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে মন্ত্রী বলেন, সুন্দরবন এখন বিশ^ ঐতিহ্যের অংশ। এটি যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনী ইশতেহারে প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার যে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তা আমাদের সবাইকে মনে রাখতে হবে। তিনি তার মন্ত্রণালয়কে দুর্নীতিমুক্ত মন্ত্রণালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য সুন্দরবনের ক্ষতি হবে না
এদিকে উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এমপি রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করে বলেন, এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি হবে না। বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হওয়ার আগেই সুন্দরবনের কিছু কিছু সুন্দরী গাছের পাতা বিবর্ণ হওয়ার কারণ ক্ষতিয়ে দেখতে তিনি বন বিভাগের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন। উপমন্ত্রী দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, সুন্দরবন এলাকায় যেসব অনিয়ম সেগুলো রোধ করার ব্যবস্থা করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement