বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে রিটের পরবর্তী শুনানি ২৭ জানুয়ারি

নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষের পর বিশ্ব ইজতেমা পালনে আদালতের নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করাকে ‘লজ্জার’ বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানিকালে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো: খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এই মন্তব্য করেন।
রিট আবেদনের পে শুনানিতে অংশ নেন : অ্যাডভোকেট শাহ মো: নুরুল আমিন। অন্য দিকে রাষ্ট্রপে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
শুরুতেই রিটকারীর আইনজীবী শাহ মো: নুরুল আমিন আদালতের সামনে মামলার বিবরণীর ওপর শুনানি করেন। শুনানির একপর্যায়ে আদালত রিটকারী পরে উদ্দেশে বলেন, আপনারা নিজেরা দুই ভাগে বিভক্ত হলে দ্বীনের প্রচার করবেন কিভাবে? নিজেদের মধ্যে মারামারি করবেন, আবার ইজতেমা পালনের জন্য আদালতে রিট দায়ের করবেন, এটা লজ্জার। আগে নিজেরা সংশোধন হন, সুস্থ হন এবং নিজেদের মধ্যে বিভেদ নিরসন করুন। তারপরই আপনাদের আবেদন শুনব।
এরপর রিটকারীর আইনজীবী শাহ মো: নুরুল আমিন আদালতকে বলেন, দুই পরে মধ্যে দ্বন্দ্ব নিরসনের চেষ্টা চলছে। তবে দ্বন্দ্ব নিরসন সম্ভব না হলে সরকার দুই পকে আলাদা-আলাদাভাবে ইজতেমা পালনের যে নির্দেশনা দিয়েছেন তা-ই পালন করা হবে।
এ সময় রাষ্ট্রপে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু আদালতকে জানান, বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে আজ বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি জরুরি সভার তারিখ নির্ধারণ রয়েছে। ইজতেমার বিষয়ে সেখান থেকে সুস্পষ্ট নির্দেশনা আসতে পারে।
রাষ্ট্রপরে এই শুনানির পর মামলাটির পরবর্তী শুনানি ও আদেশের জন্য আগামী ২৭ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২১ জানুয়ারি টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে বিশ্ব ইজতেমা করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো: ইউনুস মোল্লা। রিট আবেদনে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ তিন জনকে বিবাদি করা হয়।