১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ভারতীয় কোম্পানি ‘এ ক্যাপসুল’ কিনতে বাধ্য করেছে

-

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা: মো: মুরাদ হাসান বলেছেন, ‘মামলা করে ভারতীয় একটি অখ্যাত কোম্পানির কাছ থেকে নিম্নমানের ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল কিনতে বাধ্য করা হয়েছে। ক্যাপসুলের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।’
গতকাল দুপুরে কিশোরগঞ্জ সার্কিট হাউজে কিশোরগঞ্জে সরবরাহ করা ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুলের নমুনা পর্যবেণের সময় সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মামলা করে নিম্নমানের ওই ক্যাপসুল কিনতে বাধ্য করা হয়েছে। সরবরাহ করা এসব ক্যাপসুল কৌটার সাথে লেগে আছে। আলাদা করা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এ কোম্পানির কোনো সুনাম নেই। মামলা করে তারা আমাদের এ ক্যাপসুল কিনতে বাধ্য করেছে। লাল ক্যাপসুল নিয়ে কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে। কেন এ রকম হলো পরীার পর তা বলা যাবে। তবে দেশের কোম্পানি থেকে কেনা সবুজ রঙের ট্যাবলেটে কোনো সমস্যা নেই।’
‘ভিটামিন এ ক্যাপসুলে শিশুদের যেন কোনো ধরনের সমস্যা না হয়Ñ এ জন্য আপাতত এ কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। তবে শিগগিরই এ প্লাস ক্যাম্পেইন শুরু হবে’ যোগ করেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী। জাগো নিউজ।
এ সময় জেলা প্রশাসক সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তরফদার মো: আক্তার জামিল, সিভিল সার্জন ডা: মো: হাবিবুর রহমান, জেলা ২৫০ শয্যা কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের উপপরিচালক রাজিয়া সুলতানা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ আফজাল, জেলা বিএমএর সভাপতি ড. মাহবুব ইকবাল, সাধারণ সম্পাদক ডা: আবদুল ওয়াহাব, জেলা স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদের সভাপতি ডা: দীন মোহাম্মদসহ জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে ২৫০ শয্যা কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল ও শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, মূলত রাতকানা রোগ প্রতিরোধের জন্য ১৯৯৪ সাল থেকে দেশের শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে। ২০১২ সালেও ভিটামিন এ ক্যাপসুল নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। অবশ্য মান নিয়ে কোনো কথা ওঠেনি। জটিলতা হয় মূলত কার্যাদেশ দেয়া নিয়ে।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল