২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

জীবননগরে আ’লীগের মিছিল থেকে হামলার অভিযোগ

-

সারা দেশের মতো চুয়াডাঙ্গা-২ আসনেও গত সোমবার দলীয় প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দের খবরে আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ অন্য দলের দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে আনন্দ উচ্ছ্বাস আর উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। একইভাবে জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীরা সোমবার সন্ধ্যায় শহরে আনন্দ মিছিল বের করেন।
সন্ধ্যায় দু’টি মিছিল জীবননগর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন স্থানে পৌঁছালে হঠাৎ দু’টি মিছিল থেকে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। বিএনপির পক্ষে অভিযোগ করা হয় তাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে আওয়ামী লীগের মিছিল থেকে হামলা করা হয়। এ সময় পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করে।
ওই হামলায় যুবদলের তিন কর্মী আহত হয়েছেন তবে আওয়ামী লীগের পক্ষে হামলার কথা অস্বীকার করা হয়েছে।
উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল ইসলাম বলেন, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাহমুদ হাসান খান বাবুর পক্ষে সোমবার ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দের খবরে আমরা যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা হাসপাতাল সড়ক থেকে একটি আনন্দ মিছিল বের করি। আমাদের মিছিলটি জীবননগর বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছানো মাত্র যুবলীগ নেতা ছোট বাবু ও মজিবুরের নেতৃত্বে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়। তাদের হামলায় আমাদের তিনজন কর্মী আহত হয়েছেন। আহতরা হচ্ছেন সোহাগ, সোহেল ও বাবু। এ সময় পুলিশসহ যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের ধাওয়া করে। পুলিশ সাথে পেয়ে যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে।
তবে এ ঘটনায় যুবলীগ নেতা শাহ আলম শরিফুল ছোট বাবু দু’পক্ষের মিছিল ও কয়েকজনের মধ্যে ধস্তাধস্তির কথা স্বীকার করে বলেন, আমি ঘটনা শুরুর সময় ছিলাম না, তাহলে কিভাবে আমার নেতৃত্বে হামলা হলো। আমি পরে গিয়ে দু’পক্ষকে দু’দিকে সরিয়ে দিয়েছি। তারপরও যদি আমাকে দোষ দেয়া হয় তাহলে কী করার আছে?
জীবননগর থানার ওসি শেখ গনি মিয়া বলেন, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া নয় তবে ধাওয়া হয়েছে। একটি মিছিল থেকে ধর ধর বলা হয়েছে। এ আমরা দু’পক্ষকেই নিবৃত্ত করার চেষ্টা করি। পুলিশ উভয়পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement