২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`
রাজনীতিমুক্ত করার দাবি

তাবলিগে আরো বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা সাদপন্থীদের

-

কওমি আলেমরা তাদের ছাত্রদের ব্যবহার করে তাবলিগ দখল করতে চাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মাওলানা সাদপন্থী তাবলিগের সাথীরা। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সাদপন্থী তাবলিগের মুরব্বি মাওলানা আশরাফ আলী বলেন, তাবলিগ নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে। কওমি আলেমরা চাচ্ছে তাবলিগের নেতৃত্ব শুধু কওমি মাদরাসা শিক্ষতরা দেবে, সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত তাবলিগের সাথীরা নেতৃত্ব দিক তারা তা চায় না। এ কারণেই বিভাজন তৈরি হয়েছে। আগামীতে এ বিভাজন দূর হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, কওমি আলেমরা যদি তাবলিগ দখলের নীতি থেকে সরে না আসে, টঙ্গীর মাঠ যদি তাদের এককভাবে দিয়ে দেয়া হয় তাহলে ভবিষ্যতে আরো বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আবদুল্লাহ মনছুর, মাওলানা সাইফুল্লাহ, আকরাম হোসেন প্রমুখ।
মাওলানা আশরাফ আলী বলেন, মাওলানা সাদ তাবলিগের সর্বগ্রহণযোগ্য মুরব্বি। যারা তার বিরোধিতা করছেন তারা তাবলিগের মূল চেতনা থেকে দূরে সরে গেছেন। তারা তাবলিগকে রাজনীতিতে ব্যবহার করতে চাচ্ছেন। তাবলিগের সাথীদের ভোট ব্যাংক হিসেবে দেখিয়ে নৌকা মার্কা পেতে চেয়েছিলেন। এ জন্য সরকারও তাদের আনুকূল্য দিচ্ছে।
টঙ্গী ময়দানে সংঘর্ষ তাবলিগের ভাবমর্যাদা ক্ষুণœ করেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সংঘর্ষ-সঙ্ঘাত তাবলিগের কাছে কেউ কামনা করে না। যে ঘটনা ঘটেছে তা দুঃখজনক। এ ঘটনার দেশে ইসলাম প্রচারে সঙ্কট তৈরি হয়েছে। জনমনে তাবলিগের প্রতি অনাস্থা তৈরি করতে পারে। তবে এটা আমরা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি।
সঙ্কট সমাধান প্রসঙ্গে মাওলানা আশরাফ আলী বলেন, দুই পকে পৃথকভাবে কাজের সুযোগ দেয়া ছাড়া এ মুহূর্তে সমাধান দেখছি না। তারা (সাদবিরোধীরা) তাদের মতো কাজ করবে, আমরা আমাদের মতো কাজ করব।
এ সময় তিনি সঙ্কট সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর হস্তপে কামনা করে ৯ দফা দাবি জানিয়েছেন। দাবিগুলো হলো ১ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তাবলিগের উভয়পরে উপস্থিতিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী টঙ্গী মাঠের পুরো নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতে নিতে হবে। নির্বাচনের পর উভয়পরে সাথে পরামর্শ করে টঙ্গী মাঠ ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কাকরাইল মসজিদে উভয় পরে অবস্থান ও ব্যবহার সমতার ভিত্তিতে নিশ্চিত করতে হবে। একপ কাকরাইলে থাকলে অন্য পকে টঙ্গীর ময়দান পরিচালনার ও ব্যবহারের সুযোগ দিতে হবে। বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন মসজিদ বা এলাকায় একপ অন্য পকে তাবলিগের কাজে বাধা দিতে পারবে না। বাধা দিলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। মাদরাসার ছাত্রদের দিয়ে তাবলিগের কাজে বাধা দেয়া বা রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করা যাবে না। দারুল উলুম দেওবন্দ অধ্য মুফতি আবুল কাসেম নোমানী এবং শিক ও পরিচালক মাওলানা আরশাদ মাদানী উভয়ই বলেছেন, দারুল উলুম দেওবন্দ তাবলিগের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনো পে কথা বলবে না। আমরা চাই, আমাদের দেশের আলেমরাও কথায় ও কাজে দারুল উলুম দেওবন্দের সাথে ঐকমত্য পোষণ করেন। বিদেশী মেহমানদের নিরাপত্তা দিতে হবে। বাংলাদেশে তাবলিগ রাজনীতিমুক্ত রাখতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
শেখ হাসিনা সব প্রতিবন্ধকতা উপড়ে ফেলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় ইসরাইলি গণহত্যা বন্ধে বিশ্ববাসীকে সোচ্চার সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তির মৃত্যু নীলফামারীতে তিন হাজার ১৭০ চাষির মাঝে বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ বিতরণ কারাগারে কয়েদির মৃত্যু উজ্জ্বল হত্যার বিচার দাবিতে সরিষাবাড়ীতে মানববন্ধন পাবনায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১ আহত ২১ খাবারের সন্ধানে বসতবাড়িতে হরিণ, মহামায়ায় অবমুক্ত সিঙ্গাপুর প্রবাসী ফিরোজ মাহমুদের লাশ দেশে ফিরেছে ফরিদপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের মৃত্যু গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সব ধর্মের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে: ড. সুকোমল বড়ুয়া

সকল