২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

লুট হওয়া মালামাল ও ফ্যাট ফেরত চায় ভুক্তভোগী পরিবার

-

চেক জালিয়াতির সাজাপ্রাপ্ত পলাতক এক আসামি জালিয়াতি করে বেআইনিভাবে একটি পরিবারের ফ্যাটের তালা ভেঙে মালামাল লুট করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। লুট করা মালামাল ও ফ্যাট ফেরত পেতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে পরিবারটি। গত রোববার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী দেওয়ান শামসুল হুদা ও তার স্ত্রী জেসমিন আকতার এ দাবি করেন।
লিখিত বক্তব্যে শামসুল হুদা জানান, দুই বছর আগে রাজধানীর পল্লবী এলাকার ডিওএইচএসের ৭ নম্বর রোডের ৪২৩ নম্বর বাড়ির ৩/এ, ফ্যাটটি এক কোটি ৪০ লাখ টাকায় ক্রয় করে দখল বুঝে নিয়ে সপরিবারে বাস করে আসছিলেন তারা। ঘটনায় জড়িতরা পূর্বপরিকল্পনায় ব্যাংক চেকের মাধ্যমে টাকা নিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে নগদ টাকা প্রদানে বাধ্য করা হয়। ক্রয় করা ফ্যাটটি রেজিস্ট্রেশনে সহযোগিতার বদলে তারা প্রতারণার মাধ্যমে সেটি অন্যের কাছে বিক্রির চেষ্টা করায় বিশেষ জজ আদালত-৭-এ সিআর মামলা করা হয় এবং আদালত গত ২ অক্টোবর তার পক্ষে রায় প্রদান করেন।
এ ঘটনায় মুসরাত জাহানের সাজা হওয়ায় তিনি ডিওএইচএস পরিষদের কতিপয় ব্যক্তি ও হুমায়ুন নামে এক সরকারি কর্মকর্তার সহযোগিতায় তার পরিবারকে খুন ও গুমের হুমকি দেয়। গত ৭ নভেম্বর ফ্যাটের বিদ্যুৎ লাইন কেটে দিয়ে সিসিটিভি ক্যামেরা ও ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন করে সেগুলো নিয়ে যায়। এ ঘটনায় পল্লবী থানায় ৫২৬ নম্বর জিডি করা হয়। জটিলতা নিরসনে সিভিল কোর্টে মামলা করেন। মামলাগুলো আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, গত ৬ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ফ্যাটের তালা ভেঙে সব আসবাবপত্র, নগদ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কার, ল্যাপটপ ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রসহ যাবতীয় মালামাল লুট করা হয়। এ ব্যাপারে তার স্ত্রী ডিওএইচএস পরিষদে গেলে সন্ধ্যা ৭টার দিকে তালা ভেঙে নেয়া নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার ফেরত দেয়ার জন্য ডিওএইচএস পরিষদে ডেকে নেয়। সেখান থেকে তাকে জোরপূর্বক পরিষদের অ্যাম্বুলেন্সে তুলে নিয়ে দীর্ঘ সময় ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ঘোরানো হয়। পরে এমপি ইউনিট এলাকায় তাকে নামিয়ে দেহতল্লাশি এবং বিভিন্নভাবে টর্চার করা হয়। পরে জোর করে কাগজে স্বাক্ষর করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে ও মেরে ফেলার হুমকি দেয়। রাত দেড়টায় মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে ক্যান্টনমেন্ট থানায় হস্তান্তর করা হয় বলে অভিযোগ করেন। বর্তমানে তারা মানবেতর জীবন-যাপন করছেন বলে জানান।


আরো সংবাদ



premium cement