১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`
বিডিআর বিদ্রোহে নিহত

প্রতারক থেকে রক্ষা পেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা লে. কর্নেলের পরিবারের

-

প্রতারক চক্রের কবল থেকে রক্ষা পেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে বিডিআর বিদ্রোহে নিহত শহীদ লে. কর্নেল (অব:) আবু মুছা মোহাম্মদ আইয়ূব কায়সারের পরিবার। গতকাল বিকেলে ক্রাইম রিপোর্টার্স বহুমুখী সমবায় সমিতি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই দাবি জানান।
লিখিত বক্তব্যে আবু মুছার মেয়ে কারিশা মুসরাত বলেন, তার বাবা মিরপুর ডিওএইচএসের ৪২৩ নম্বর চতুর্থ তলায় একটি ফ্যাট ক্রয়ের জন্য এমিকাস ডেভেলপমেন্ট কোম্পানিকে টাকা দেন। অর্ধেক টাকা দেয়ার পর বিডিআর বিদ্রোহে তিনি শহীদ হন। এরপর অনেক কষ্ট করে তার পরিবারের সদস্যরা বাকি টাকা দিয়ে ফ্যাটের মালিকানা নেন; কিন্তু বাবা না থাকায় অর্থের প্রয়োজনে তারা ওই ফ্যাটটি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন। এ সময় দেওয়ান শামসুল হুদা ও তার স্ত্রী জেসমিন আক্তার এক কোটি ৪০ লাখ টাকায় ওই ফ্যাট ক্রয় করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ জন্য তারা ১০ লাখ টাকা বায়না দেন। এরপর নিজেরাই জালজালিয়াতির মাধ্যমে আমাদের স্বাক্ষর জাল করে দু’টি নোটারাইজড বায়নানামা দলিল তৈরি করেন, যাতে বিক্রেতাকে ৩৮ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করে তালা ভেঙে জোর করে ফ্যাটের দখল নেন। তাদের কাছে বাকি টাকা চাইতে গেলে বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে শুরু করেন।- শুধু তাই নয়, কৌশলে করা নকল বায়নানামা দেখিয়ে তারা বিভিন্নভাবে মামলা দিয়ে হয়রানি করতে শুরু করেন। এ ব্যপারে প্রতিকার চেয়ে ডিওএইচএস কর্তৃপক্ষ ও সেনাবাহিনী সদর দফতরে আবেদন করা হয়। আদালতে মামলা দায়ের করা হয়; কিন্তু তাতেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। উল্টো দেওয়ান শামসুল হুদার পরিবার থেকে শহীদ লে. কর্নেল আবু মুছার পরিবারকে বিষয়টি নিয়ে সামনে না এগোনোর জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। শুধু তাই নয়, ইতোমধ্যে তিনি একটি সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাংবাদিকদের বিভ্রান্ত করেছেন, যা কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় ছাপা হয়েছে।
প্রতারণার বিষয়টি তদন্ত করে প্রকৃত সত্য উদঘাটন ও ন্যায়বিচারের জন্য প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সেনাপ্রধানের হস্তক্ষেপ কামনা করেন কারিশা ও তার পরিবার।


আরো সংবাদ



premium cement