১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্টের সেবামূলক কার্যক্রম

-

উপমহাদেশ জুড়ে সুপরিচিত তাসাওউফ কেন্দ্র মাইজভাণ্ডার দরবার শরিফ সুফি তরিকা প্রচারের পাশাপাশি মানবসেবা এবং জ্ঞানচর্চা কেন্দ্র হিসেবেও বিভিন্নভাবে বিকশিত হচ্ছে। জনসেবা, মানবকল্যাণ, মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং গবেষণামূলক প্রকাশনার কর্মসূচি সফলভাবে সম্পন্নের জন্য গঠিত হয়েছে ‘শাহানশাহ হজরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী ক: ট্রাস্ট’।
এ ট্রাস্ট সমাজে চরিত্রবান, দুর্নীতিমুক্ত, শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক মানবসম্পদ সৃষ্টির লক্ষ্যে নি¤œ বর্ণিত প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে। শিক্ষা প্রকল্পের আওতায় রয়েছে : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা, মকতব, এতিমখানা, স্কুল প্রভৃতির সংখ্যা ২৭টি) (২) বৃত্তি তহবিল, কারিগরি শিক্ষা প্রকল্প, ধর্মীয় শিক্ষক, শিক্ষক প্রশিক্ষণ, অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা, সংলাপ, মাইজভাণ্ডার শরিফ গণপাঠাগার প্রভৃতি। দারিদ্র্য বিমোচন প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে (ক) জাকাত ফান্ড; (খ) অমুসলিম দুস্থসহায়তা তহবিল ও (গ) সাধারণ দুস্থসহায়তা তহবিল। স্বাস্থ্যসেবা প্রকল্পগুলো হচ্ছেÑ (১) মাইজভাণ্ডার দরবার শরিফ হোসাইনী দাতব্য চিকিৎসালয় (২) চট্টগ্রাম মহানগরীর বিবিরহাট এলাকায় সৈয়দ সলিমুল্লাহ শাহ রোডে অবস্থিত ‘সৈয়দ নূরুল বখতেয়ার শাহ দাতব্য চিকিৎসালয়। এ ছাড়া বিনা খরচায় দরিদ্র শিশুদের খৎনা, নাক ও কান ফোঁড়ানো, গরিব প্রসূতি মাদের চিকিৎসা প্রভৃতি।
গবেষণা ও প্রকাশনা পর্ষদের মাধ্যমে ১৯৮৫ সালে সর্বপ্রথম মাসিক ‘আলোকধারা’ পত্রিকা প্রকাশিত হয়। এটি তাসাওউফভিত্তিক মাসিক রেজিস্টার্ড পত্রিকা। গবেষণা ও প্রকাশনা পর্ষদ ইতোমধ্যে ৩০টি পুস্তক ও গ্রন্থ প্রকাশ করেছে। আরো বেশ কিছু পাণ্ডুলিপি প্রকাশনা পর্ষদের কাছে জমা আছে। শাহানশাহ হজরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী ক: ট্রাস্টের আওতায় ২০১৫ সাল থেকে ‘আলোকধারা বুকস’ নামে নিজস্ব প্রকাশনা সংস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ট্রাস্টের অন্যতম সংগঠন হচ্ছে ‘মাইজভাণ্ডারী অ্যাকাডেমি। ২০০২ সালে মাইজভাণ্ডারী অ্যাকাডেমি প্রতিষ্ঠার পর থেকে ধর্ম-দর্শন, তাসাওউফ এবং ধর্মীয় সম্প্রীতি বিষয়ে বিভিন্ন সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও সম্মেলনের আয়োজন করে।
এ ট্রাস্টের রয়েছে মহিলাদের জন্য আত্মজিজ্ঞাসামূলক সংগঠন ‘আলোর পথে’ এবং ইসলামের সঠিক রূপরেখা সম্পর্কিত জ্ঞানানুশীলন কেন্দ্র ‘দি মেসেজ’।
কিশোর তরুণদের জন্য ট্রাস্টের অন্যতম সংগঠন হচ্ছে ‘তাজকিয়া’। কিশোর-তরুণদের নৈতিক মানোন্নয়নের জন্য এ সংগঠনের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ ক্লাসের ব্যবস্থা আছে।
ট্রাস্টের অধীনে আধ্যাত্মিক সঙ্গীত এবং মাইজভাণ্ডারী সঙ্গীত চর্চা ও প্রশিক্ষণের জন্য চলমান রয়েছে ‘মাইজভাণ্ডারী মরমী গোষ্ঠী’।
বিশেষ সেবামূলক কার্যক্রমের আওতায় বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা, ওষুধ বিতরণ, বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ এবং মুরাদপুর, নাজিরহাট ও মাইজভাণ্ডার দরবার শরিফে যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করে জনসেবা কর্মে ট্রাস্ট ভূমিকা রেখে চলেছে। বিজ্ঞপ্তি।
এ ছাড়া মাইজভাণ্ডার দরবার শরিফের বার্ষিক ওরশ শরিফগুলোর জনগণের জন্য ন্যায্যমূল্যে খাবারের দোকান, সুপেয় খাবার পানি, অস্থায়ী টয়লেট, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি সফলভাবে সম্পন্ন করে থাকে শাহানশাহ হজরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী ক: ট্রাস্ট।

 


আরো সংবাদ



premium cement