মালিক-শ্রমিক-সরকারের সমন্বিত কার্যক্রমে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি সাধিত হয় : মেয়র নাছির

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, শ্রমজীবী মানুষের জীবনমান উন্নয়নে সরকার বহুমাত্রিক উদ্যোগ ও কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থে সরকার শ্রম আইন সংস্কারসহ শিশুশ্রম নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এ উদ্যোগ আনুষ্ঠানিকের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না, তা বাস্তবায়নে শ্রমিক, মালিকপক্ষকে পারস্পরিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। মালিক-শ্রমিক-সরকারের সমন্বিত কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি সাধিত হয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি গতকাল নগরীর একটি হোটেলে বিলসের দিনব্যাপী তৃতীয় বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। বিলসের ভাইস চেয়ারম্যান মো: মুজিবর রহমান ভূঞার সভাপতিত্বে সভায় বিলসের যুগ্ম মহাসচিব মো: জাফরুল হাসান, বিলস উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মেসবাহ্ উদ্দিন আহম্মদ, প্রকল্প সমন্বয়কারী কোহিনূর মাহমুদ, শ্রম ইস্যুতে গবেষক অধ্যাপক ড. ফসিউল আলম, ড. শাহিন চৌধুরী, ট্রেড ইউনিয়ন নেতারাদের মধ্যে যথাক্রমে তপন দত্ত, এ এম নাজিম উদ্দিন, মু শফর আলী, মসিউদ্দৌলা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মেয়র বলেন-মালিক-শ্রমিক-সরকারের সমন্বিত কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি সাধিত হয়। এ ক্ষেত্রে বিলস কার্যক্রমে সব দলের অংশগ্রহণের ফলে সংগঠনটির এক অন্যন্য ভূমিকা পালন করে আসছে। তিনি বলেন, সফর আলী, নাজিম উদ্দীন ও তপন দত্ত এই তিনজনই তিনটি দলের নেতৃত্ব রয়েছেন। বলা যায় তিনজনই বিপরীত রাজনীতিতে জড়িত। তার পরও এই বিলসের কার্যক্রমে এক অভিন্ন দাবি আদায়ের আপসহীন নেতা তারা। এই গুণী রাজনীতিবিদদের কাছে থেকে আমাদের অনেক কিছুই শেখার আছে। তারা যদি এক জায়গায় শ্রমজীবী মানুষের রুজি রোজগারের উন্নয়নে কাজ করতে পারেন, জাতির উন্নয়নে কেন আমরা এক জায়গায় এসে কাজ করতে পারব না? মেয়র বলেন, দেশের উন্নয়নে আমাদের সবার দায়বদ্ধতা আছে। নিজ নিজ অবস্থান থেকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে দেশের অর্থনীতির অগ্রযাত্রার ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবেশ সৃষ্টি হবে।

সম্মেলনে শ্রমিক নেতারা বলেন, দেশের প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক বিশেষত ঝুঁকিপূর্ণ শিল্পে শ্রমিক মৃত্যু ও দুর্ঘটনা নিত্য-নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারের পরিদর্শন বিভাগের নিষ্ক্রিয়তা, মালিক-কর্তৃপক্ষের গাফিলতি, অব্যবস্থাপনা ও যথাযথ তদারকির অভাবে, প্রতিনিত ঝুকিঁপূর্ণ কর্মপরিবেশে কাজ করতে বাধ্য হওয়ার ফলে অসহায় শ্রমিকেরা একের পর এক দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর শিকার হচ্ছেন। কর্ম ক্ষেত্রে দুর্ঘটনা রোধ, ট্রেড ইউনিয়ন ও শ্রম আইন কার্যকর করা এখন সময়ের দাবি। এ ক্ষেত্রে সরকারের উদ্যোগী ভূমিকা প্রয়োজন বলে নেতারা উল্লেখ করেন।