১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`
সংবাদ সম্মেলনে অভিমত

সম্প্রীতির উদাহরণ এখন বাংলাদেশ সব অপশক্তিকে রুখতে হবে

-

‘সম্প্রীতির উদারহরণ এখন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেছেন, চলতি বছর এখন পর্যন্ত দেশে তিনটি বড় ধর্মীয় উৎসব পালিত হয়েছেÑ ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা ও শারদীয় দুর্গোৎসব। তিনটি উৎসবই পালিত হয়েছে সাড়ম্বরে। কোনো অঘটনের খবর পাওয়া যায়নি। দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর অসাম্প্রদায়িক মনোভাবের কারণেই অন্ধকারের কুশীলবরা কোনো অঘটন ঘটাতে ব্যর্থ হয়েছে। ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ পরিচয়ে কেউ যেন নিগ্রহের শিকার না হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। নির্বাচন সামনে রেখে কোনো অপশক্তি যাতে নতুন করে কোনো অঘটন ঘটাতে না পারে, সেদিকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
গতকাল জাতীয় প্রেস কাবে সম্প্রীতি বাংলাদেশ এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন জাতীয় প্রেস কাবের সভাপতি মুহম্মদ শফিকুর রহমান, ভূ-রাজনীতি ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব:) এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার পিএসসি ও পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়। এ ছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেনÑ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. অসীম কুমার সরকার, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা: উত্তম বড়–য়া, রেভারেন্ড মার্টিন অধিকারী ও শহীদ পরিবারের সন্তান ডা: নুজহাত চৌধুরী।
সঞ্চালনা করেন সম্প্রীতি বাংলাদেশ-এর সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা: মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল।
শুরুতেই লিখিত বক্তব্যে পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রীতি বাংলাদেশের পথচলার কথা তুলে ধরে বলেন, গত ৭ জুলাই, আত্মপ্রকাশের পর থেকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও সম্প্রীতি বাংলাদেশ নামের নবীন সংগঠনটির নাম পৌঁছে গেছে। সমাজে, বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে সম্প্রীতি বাংলাদেশ বিশেষ সাড়া জাগাতে পেরেছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে যেমন; তেমনি প্রবাসী বাঙালিদের কাছ থেকেও প্রচুর সাড়া মিলেছে। তিনি বলেন, এবারের দুর্গোৎসবে হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য একটি বড় উপহার দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। ঢাকেশ্বরী মন্দিরের বেহাত হয়ে যাওয়া জমি পুনরুদ্ধার করে দিয়েছেন তিনি। এ জন্য তাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের মানুষ তার যোগ্য নেতৃত্বে সব ধরনের অপশক্তিকে রুখে দিতে প্রস্তুত। এবারের নির্বাচনে আমার ভোট আমি দেব, তবে অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধের পরে শক্তিকে দেব। আগামীকাল পালিত হতে যাওয়া প্রবারণা পূর্ণিমা ও ডিসেম্বরে বড়দিনও দেশের মানুষের পূর্ণ সহযোগিতায় নির্বিঘেœ পালিত হবে বলেও আমরা আশা পোষণ করি।
এক প্রশ্নের জবাবে মুহাম্মদ শফিকুর রহমান বলেন, একটি অপশক্তি সব সময় দেশের মধ্যে গোলযোগ সৃষ্টি করতে চেয়েছে। মুক্তিযুদ্ধেও পক্ষের শক্তি ক্ষমতায় থাকলে দেশের সাধারণ মানুষের ভাগ্যও পরিবর্তন হয়। বিষয়টি সবাইকে মনে রাখতে হবে।
মেজর জেনারেল (অব:) এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার পিএসসি বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তী ও ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগের ও পরের ঘটনাগুলো আমাদের মন থেকে মুছে যায়নি। সাম্প্রদায়িক অপশক্তি নতুন করে সংগঠিত হয়ে যেকোনো অঘটন ঘটাতে তৎপর। সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এ ব্যাপারে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। জনগণকে সাথে নিয়ে সব অপশক্তিকে রুখে দিতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement