২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

প্রয়োজনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন হতে পারে : তথ্যমন্ত্রী

-

উগ্রবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাকে গণতন্ত্র, গণমাধ্যম এবং সমাজের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, উগ্রবাদের হুমকি ডিজিটাল সমাজে ছড়িয়ে পড়েছে। এ সমস্যা মোকাবেলার জন্য আমাদের প্রস্তুত হতে হবে। এর বিরুদ্ধে লড়তে সরকার ও সংবাদমাধ্যমকে একসাথে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, যেকোনো আইন পরীা করা যায়, সংশোধন করা যায়। প্রয়োজনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন হতে পারে।
গতকাল বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের তৃতীয় জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী। বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সেতারা মুসা, সাধারণ সম্পাদক পারভীন সুলতানা ঝুমা ও কোষাধ্য আখতার জাহান মালিক বক্তৃতা করেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার বলে আসছে, সম্প্রতি সংসদে পাস হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ডিজিটাল মাধ্যমে অপরাধ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি উগ্রবাদের বিস্তার ঠেকাতে সহায়ক হবে। চলতি মাসের শুরুতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বলেছেন, সাইবার সিকিউরিটি এখন প্রতিটি দেশেই বিরাট সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসসহ নানা ধরনের অপরাধের বিস্তার ঘটছে জিডিটাল মাধ্যমে। সেসব মাথায় রেখেই সরকার ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন করেছে। তবে ওই আইনের আটটি ধারা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন তা সংশোধনের দাবি জানিয়ে আসছে। তাদের অভিযোগ, ওই ধারাগুলো স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মুক্ত গণমাধ্যমের পরিপন্থী। তিনি বলেন, আমি আশ্বস্ত করতে পারি, গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে কাজে লাগানোর জন্য এ আইন নয়।
তৌফিক ইমরোজ খালিদী বলেন, অন্যান্য পেশার মতো সাংবাদিকতায় নারীর অংশগ্রহণ ক্রমে বাড়লেও ব্যবধান এখনো অনেক বেশি। গত ৩০ বছরে বাংলাদেশে সংবাদকর্মীদের মধ্যে নারীদের হার ৪ শতাংশ থেকে বেড়ে মাত্র ১৩ শতাংশ হয়েছে। এই হারকে আগামী তিন বছরে ৩০ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার ল্য ঠিক করার প্রস্তাব রাখলে তাৎণিকভাবে তাতে সায় দেন তথ্যমন্ত্রী ইনু। তবে ওই ল্য পূরণ করতে হলে সবার আগে দতার উন্নয়ন প্রয়োজন বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, সংবাদ কে এবং প্রতিবেদক হিসেবে নারীদের সংখ্যা বাড়াতে হলে দতা ও যোগ্যতা বাড়ানের কোনো বিকল্প নেই।
১১ বছর পর ১৭ বছরের পুরনো বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের এবারের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সারা দেশ থেকে প্রতিনিধিরা এ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের একজন সেতারা মুসা এ অনুষ্ঠানে এসেছিলেন হুইল চেয়ারে বসে। ৮০ পেরুনো এই নারী ১৯৫০-এর দশকে তার সাংবাদিকতা শুরুর দিনগুলোর কথা স্মরণ করেন। মিলনায়তন ভর্তি নারী সাংবাদিকদের উপস্থিতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমি আশা করি, আগামী বছর এই সংখ্যা দ্বিগুণ হবে।


আরো সংবাদ



premium cement