২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
এনডিআইয়ের প্রতিবেদন

বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন তীব্র উত্তেজনাকর হলেও সংলাপ সম্ভব

-

ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক ইনস্টিটিউটের (এনডিআই) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন হবে তীব্র উত্তেজনাকর, তবে সরকার ও বিরোধী দল যদি সত্যিকারের একটি সংলাপে বসে তাহলে একটা অধিকতর গ্রহণযোগ্য, স্বচ্ছ, শান্তিপূর্ণ ও সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করা সম্ভব। এর মধ্য দিয়ে একটি নতুন জাতীয় সমঝোতা ধারার সূচনা এবং জাতির সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে যে অগ্রগতি ঘটেছে তা চলমান থাকতে পারে। তবে এনডিআইয়ের নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী নির্বাচনটি জটিল রাজনৈতিক মেরুকরণ, তীব্র উত্তেজনাকর এবং একটি সঙ্কুচিত রাজনৈতিক পরিসরে অনুষ্ঠিত হবে।
এনডিআই প্রতিনিধিদল ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ইভিএম স্থাপন বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের উদ্বেগজনক পরিকল্পনা সম্পর্কে পর্যবেক, গণমাধ্যম ও বিরোধীদলীয় নেতাদের তরফ থেকে শুনেছেন। নির্বাচনী প্রক্রিয়ার পূর্ণ অংশগ্রহণের বিষয়ে নারী ও যুবকেরা উল্লেখযোগ্যভাবে বাধার মুখোমুখি হচ্ছে। উপরন্তু, গণমাধ্যম প্রতিনিধি এবং নাগরিক নির্বাচন পর্যবেকসহ সুশীলসমাজের তরফে তারা জেনেছেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।
রাজনৈতিক কর্মী ও সরকারের সমালোচকদের তারা গ্রেফতার করছে। এর পাশাপাশি বিতর্কিত ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট আরো ভয়ানকভাবে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধগুলোর বিপরীতে থাকা গুরুতর উদ্বেগকে আরো বেশি উসকে দিচ্ছে। বাকস্বাধীনতার পথ সঙ্কীর্ণ হয়েছে।
এনডিআই প্রতিনিধিদল সংলাপ ছাড়া আরো যেসব প্রধান সুপারিশ বিবেচনার জন্য পেশ করেছে, তাহলো নির্বাচন কমিশনের কাজে কোনো হস্তপে করা হবে না, এ মর্মে সরকারের প্রকাশ্যে জনসাধারণের সামনে অঙ্গীকার করা উচিত; দলীয় কর্মী, নাগরিক সমাজ এবং গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের ভয় দেখানো থেকে বিরত থাকতে সরকারের তরফ থেকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে একটি পরিষ্কার বার্তা পাঠানো উচিত; রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত হবে নির্বাচনে নারীর অংশগ্রহণের পথে বিভিন্ন বাধা মোকাবেলার উপায় খুঁজে বের করা। নারীদের এমনভাবে সামনে আনতে হবে যাতে তারা ভোটে জিতে আসতে পারেন।
রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ এবং নির্বাচন কমিশনকে এমনসব পদপে নিতে হবে, যাতে যুবসমাজ আরো বেশি সংখ্যায় নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারে।


আরো সংবাদ



premium cement