২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক শিক্ষায় অবদান রাখায় এজিফান্ড পুরস্কার পেল ব্র্যাক

-

সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষার প্রসারে ভূমিকা রাখায় এজিফান্ড আন্তর্জাতিক পুরস্কার ২০১৭ পেয়েছে ব্র্যাক। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসঙ্ঘ কার্যালয়ে ব্র্যাকের ভাইস চেয়ারপারসন আহমদ মোশতাক রাজা চৌধুরীর হাতে এই পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। পুরস্কারটি হস্তান্তর করেন সৌদি আরবের প্রিন্স তালালের ছেলে এবং এজিফান্ডের বিশেষ প্রতিনিধি প্রিন্স আবদুল আজিজ বিন তালাল বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ। পুরস্কার কমিটির সদস্য স্পেনের রানি সোফিয়াও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল ব্র্যাকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আরব ও পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলোর উন্নয়ন সংস্থা দ্য অ্যারাব গালফ প্রোগ্রাম ফর ডেভেলপমেন্ট (এজিফান্ড) ১৯৯৯ সাল থেকে এই পুরস্কার দিয়ে আসছে।
এবারের পুরস্কারের জন্য টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) চতুর্থ লক্ষ্য ‘মানসম্মত শিক্ষা’ বিষয়ে ৭৬টি প্রকল্পের নাম জমা পড়ে। বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ অনুযায়ী গত ২৮ ফেব্রুয়ারি এজিফান্ডের প্রেসিডেন্ট প্রিন্স তালাল বিন আবদুল আজিজের পক্ষ থেকে পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন স্পেনের রানি সোফিয়া।
শিক্ষায় উন্নয়নের মোট চারটি ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার দেয়া হয়। প্রথম শ্রেণিতে পুরস্কার দেয়া হয় জাতিসঙ্ঘ বা অন্য কোনো বৈশ্বিক সংস্থা কর্তৃক বাস্তবায়িত কর্মসূচির জন্য। এই শ্রেণীতে উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক শিক্ষায় অবদান রাখায় চার লাখ ডলার (প্রায় তিন কোটি বিয়াল্লিশ লাখ টাকা) পুরস্কার পেয়েছে ব্র্যাক। দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেয়া হয় জাতীয় পর্যায়ের বেসরকারি সংস্থা কর্তৃক বাস্তবায়িত কর্মসূচির জন্য। তিন লাখ ডলারের এই পুরস্কারটি পেয়েছে নেপালের জীবনবিকাশ সমাজ। তৃতীয় শ্রেণীতে সরকার কর্তৃক বাস্তবায়িত শিক্ষা কর্মসূচির জন্য কোনো আবেদন যোগ্য বলে বিবেচিত হয়নি এবার। চতুর্থ শ্রেণীতে ব্যক্তি কর্তৃক বাস্তবায়িত শিক্ষা কর্মসূচির জন্য এক লাখ ডলার পুরস্কার পেয়েছেন ভারতের প্রজ্বলা সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সুনীতা কৃষ্ণান।
এজিফান্ডের পুরস্কার কমিটি তাদের পরবর্তী পুরস্কারের বিষয়ও নির্ধারণ করেছে। এসডিজির প্রথম লক্ষ্যকে কেন্দ্র করে এজিফান্ড আন্তর্জাতিক পুরস্কার ২০১৮-এর বিষয় হচ্ছেÑ ‘দারিদ্র্যমুক্তি, বিশ্ব থেকে সব ধরনের দারিদ্র্য নিরসন।’


আরো সংবাদ



premium cement