২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আফগানিস্তান-ভারত উত্তেজনাকর ম্যাচ টাই

আফগানিস্তান : ২৫২/৮, ভারত : ২৫২/১০, ফল : ম্যাচ টাই
-

আরেকটি দম ফাটানো, উত্তেজনাকর মুহূর্তের অবতারণা ঘটাল আফগানিস্তান! এবার আর হারেনি তারা। তবে ম্যাচ জিততেও পারেনি। টাইয়ের মাধ্যমে শেষ হলো তাদের ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ। শেষ ওভারে সাত রানের প্রয়োজন ছিল ৬ বলে। উইকেটে ছিলেন রবীন্দ্র জাদেজা ও খলিল আহমেদ। রশিদ খানের ওভারের দ্বিতীয় বলে চার হাঁকিয়ে ম্যাচটা কোজ করে ফেলে ভারত। এরপর এক রান নিয়ে প্রান্ত পরিবর্তন করে খলিল স্ট্রাইকে চলে এলে আবারো ভারত শিবিরে দুশ্চিন্তা নেমে আসে। খলিল এক রান নিয়ে আবারো জাদেজাকে স্ট্রাইক দিলে এবার ভারত শিবিরে আনন্দ। কারণ জাদেজা ম্যাচ জিতিয়ে দেবেন। পারতেনও। ব্যাটে বলে করে এক রান নিলেই হতো। কারণ শেষ বলে এক রান প্রয়োজন ছিল জয়ের জন্য। আর টাই করতে হলে আফগানিস্তানের প্রয়োজন উইকেট। রশিদ খানের শেষ বলটি বিগ শট নিতে গিয়ে ক্যাচ উঠে যায়। নাজিবুল্লাহ জরদান মিড উইকেটে যেয়ে ক্যাচ ধরলে জাদেজা আউট। রানও আর হয় না। ফলে ম্যাচ হয়ে যায় টাই। ভারত এবার ব্যর্থ হয় আফগানিস্তানকে হারাতে। এভাবেই উত্তেজনাকর মুহূর্তের সমাপ্তি ঘটে ম্যাচটির। খেলায় প্রথম ব্যাটিং করে আফগানিস্তান ২৫২/৮ করার পর ভারতও ইনিংস শেষ করল ২৫২/১০ এ। এটা ছিল দুই দলের মধ্যে দ্বিতীয় সাক্ষাৎ। আফগানিস্তান ভারতকে চমৎকার মোকাবেলা করে বুঝিয়ে দিলো তাদের উন্নতির গ্রাফ কোন পর্যায়ে। তবে ম্যাচ ওই পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার পেছনে দুই ওপেনার লোকেশ রাহুল (৬০), রাইডু (৫৭) ও কার্তিকের (৪৪) অবদান ছিল। রশিদ, নবি ও আফতাব নেন দু’টি করে উইকেট।
এর আগে মোহাম্মদ শাহজাদের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি ও মোহাম্মদ নবির দায়িত্বপূর্ণ হাফ সেঞ্চুরির ওপর ভর করে চ্যালেঞ্জিং স্কোর সংগ্রহ করেছিল আফগানিস্তান। নিয়মিত বেশ কয়জন ক্রিকেটারকে বিশ্রামে রেখে গুরুত্বহীন এ ম্যাচে ভারতের ব্যাটিং লাইনের বিপক্ষে আফগান ব্যাটসম্যানরা ছিলেন অনেকটাই নির্ভীক। মনেই হচ্ছিল না বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী এক দলের বিপক্ষে খেলছেন আফগানরা। যে বলে যে ধরনের শট খেলা প্রয়োজন ঠিক সেটাই খেলেছেন তারা এ ম্যাচে। টপ অর্ডারের কিছু ব্যর্থতা ছিল। কিন্তু সেটা মনেই করতে দেননি ওপেনার শাহজাদ। সূচনা থেকেই অ্যাটাকিং মুডে থেকে সেঞ্চুরি করে ফেলেন তিনি। ৩৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করে সেঞ্চুরি করেন তিনি ৮৮ বলে। তা-ও চাহারকে চার মেরেই। তার সেঞ্চুরির ইনিংসে রয়েছে ৬ ছক্কা, ১০ চার। এটা ভারতের বিপক্ষে আফগান কোনো ব্যাটসম্যানের প্রথম সেঞ্চুরি এবং ব্যক্তিগত ৭৬তম ওয়ানডেতে পঞ্চম সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত কিছুটা অধৈর্য হয়েই আউট হন। সেটাও ব্যক্তিগত ১২৪ রানে। ১১৬ বল খেলে ওই রান করতে তিনি হাঁকিয়েছেন সাত ছক্কা ১১ চার। ওপেনার জাভেদ আহমাদি, রহমত শাহ, হাশমতুল্লাহ ও আফগান আসগরের ব্যর্থতায় তিনি একাই যেন দায়িত্ব পালন করে চলেন। লোয়ার মিডল অর্ডারে মোহাম্মদ নবি খেলেন আরো একটা দায়িত্বপূর্ণ ইনিংস। ৫৬ বলে ৬৪ রানের এক ইনিংস খেলে আউট হন তিনি। তার আগে হাফ সেঞ্চুরি করেন তিনি ৪৫ বলে তিন ছক্কা ও তিন চারের সাহায্যে।
তবে এ ম্যাচে শাহজাদ ও নবি যখন ব্যাটিং করছিলেন তখন দলীয় স্কোর তিন শ’র কাছাকাছি যাওয়ারই সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। সেটা আর হয়নি। নির্ধারিত ওভারে ২৫২তে শেষ হয় তাদের ইনিংস আট উইকেট সংগ্রহে। সূচনাও একেবারে মন্দ ছিল না। ৬৫ রানের পার্টনারশিপ। যদিও তার বেশির ভাগ রানই করেন শাহজাদ (৫৬)। জাভেদ করেছিলেন সেখানে ৫। এ ছাড়া নায়িব ও শাহজাদের ৫০ রানের জুটি এবং নবি ও শাহজাদের ৪৬ আবার নবি ও জারদানের ৪৬ রানের আরো একটা পার্টনারশিপে মূলত তাদের ওই সংগ্রহ দাঁড়ায়। ভারতের বোলারদের মধ্যে জাদেজা তিনটি ও কুলদিব যাদব নেন দুই উইকেট।


আরো সংবাদ



premium cement
আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে মারামারি, মাঠ ছেড়ে উঠে গেল সাদা-কালোরা কৃষক যাতে ন্যায্যমূল্য পান, সেভাবেই ধানের দাম নির্ধারণ করা হবে : কৃষিমন্ত্রী চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সিএনজি ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৪ ভান্ডারিয়ায় ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা দেখতে দর্শনার্থীদের ঢল তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ৭ দিন স্কুল বন্ধের দাবি চাটমোহরে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত বিএনপি সাম্প্রদায়িক শক্তি, এদের রুখতে হবে : ওবায়দুল কাদের সাদিক এগ্রোর ব্রাহামা জাতের গরু দেখলেন প্রধানমন্ত্রী ভারতে লোকসভা নির্বাচনে প্রথম ধাপে ভোট পড়েছে ৬০ শতাংশ সারা বিশ্ব আজ জুলুমবাজদের নির্যাতনের শিকার : ডা. শফিকুর রহমান মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশী : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সকল