১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বগুড়ায় ১০ বছর ধরে ফিটনেসবিহীন সাড়ে ১১ হাজার গাড়ি বাতিল হচ্ছে

এক বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬৬ জন
-

বগুড়ায় রাস্তায় চলাচলকারী অর্ধেক গাড়িরই ফিটনেস নিয়মিত নবায়ন হয় না। তাই ১০ বছর ধরে নবায়ন না করা সাড়ে ১১ হাজার যানবাহনের ফিটনেস বাতিল করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) বগুড়া কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বগুড়া জেলায় বিভিন্ন শ্রেণীর মোটর যানবাহন রয়েছে ২১ হাজার ৯৩১টি। এরমধ্যে ১০ হাজার ৫০০ যানবাহনের ফিটনেস নিয়মিত নবায়ন করা হলেও বাকি প্রায় সাড়ে ১১ হাজার যানবাহনের ফিটনেস গত ১০ বছর ধরে নবায়ন করা হয় না। তাই সরকার ১০ বছর ধরে যেসব যানবাহনের ফিটনেস নবায়ন করা হয় না সেগুলো বাতিল করছে বলে জানা গেছে।
বিআরটিএ সূত্র জানায়, ফিটনেস নবায়ন না করার কারণে এসব যানবাহন অহরহ দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে। সূত্র জানায়, গত বছরের (২০১৭) জুলাই থেকে জুন ১৮ পর্যন্ত জেলায় মোটরযান আইনে ১৯১টি মামলা দায়ের ও ২ লাখ ২৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। একই সময় সরকারি হিসাবে ৪৯টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে, যেখানে ৬৬ জন নিহত ও আহত হয়েছে ৯৩ জন। তবে বেসরকারি হিসাবে এ সংখ্যা আরো বেশি। তবে বিআরটিএ জানিয়েছে, দক্ষ চালক তৈরির লক্ষ্যে গত বছর ৮১২ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া চলতি বছর এক হাজার প্রশিক্ষণের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে গত ৩ মাসে ৫০৪ জনকে চালকের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
বিআরটিএ সূত্র জানায়, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের ফলে বিভিন্ন ফি বাবদ গত বছরের তুলনায় বগুড়ায় এবার রাজস্ব আয় দ্বিগুণ বেড়েছে। গত অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ৩০ কোটি টাকার স্থলে আয় হয়েছে ২১ কোটি ১৬ লাখ ৯৯ হাজার টাকা। এ বছরও লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩০ কোটি টাকা। সেখানে গত ২ মাসেই আয় হয়েছে ৩ কোটি ৫৮ লাখ ৯ হাজার ৮৭০ টাকা।
নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের কারণে ড্রাইভিং লাইসেন্স, ফিটনেস সার্টিফিকেট, রুট পারমিটসহ অন্যান্য কাগজপত্র পরীক্ষা জোরদার করেছে ট্রাফিক পুলিশ। তাই যানবাহন মালিকেরা বাধ্য হয়ে বিআরটিএ অফিসে কাগজপত্রের জন্য ভিড় করছেন।
এদিকে বিআরটিএ অফিসে জনবল সঙ্কটের কারণে কর্তকর্তা-কর্মচারীরা জনগণকে সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। এতে সেবা প্রার্থীরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। গত ৩০ বছরে কাজ বেড়েছে অনেকগুণ। কিন্তু জনবল কাঠামো রয়েছে সেই আগের মতোই। সূত্র জানায়, বিআরটিএ বগুড়া অফিসে একজন সহকারী পরিচালকসহ পদ রয়েছে ১১টি। সেখানে একজন পরিদর্শক ও একজন অফিস সহকারীর পদ শূন্য রয়েছে। তাই কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অফিসে কাজ করতে হয়। তাই দাবি উঠেছে, বর্তমান সময়ে কাজের চাপ অনুযায়ী জনবল কাঠামো পরিবর্তন করে অধিক সংখ্যক কমকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ।
এ প্রসঙ্গে মোটরযান পরিদর্শক ফয়েজ আহমেদ বলেন, সড়ক দুর্ঘটনারোধে দক্ষ চালক তৈরির কাজ চলছে। এ ছাড়া ফিটনেসবিহীন গাড়ি বাতিল করা হচ্ছে। জনবল সঙ্কটের পরেও সেবা দেয়ার চেষ্টা করা হয়। মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হন সেদিকে দেখা হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement