২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের হাতে নারী সদস্য লাঞ্ছিত হওয়ায় তোলপাড়

-

রংপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ছাফিয়া খানমের হাতে নারী সদস্য ও অপর গ্রুপ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পারভীন আক্তার লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় তোলপাড় চলছে। সোমবার বিকেলে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় চেয়ারম্যান ছাফিয়া খানম অশালীন ভাষায় গালিগালাজ ও পরনের কাপড় টেনে ছিঁড়ে ফেলেন বলে অভিযোগ করেন পারভীন আক্তার। এ দিকে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চেয়ারম্যান ছাফিয়া খানম।
পারভীন আক্তার সাংবাদিকদের জানান, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের একটি প্রকল্পের সংশোধনী আনার বিষয়ে কথা বলতে বিকেল ৫টায় চেয়ারম্যানের কক্ষে যান তিনি। কথা বলার একপর্যায়ে ছাফিয়া খানম ক্ষিপ্ত হয়ে অশালীন ভাষায় গালাগাল ছাড়াও তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এ সময় তিনি পরনের কাপড় টেনে ছিঁড়ে ফেলেন বলেও অভিযোগ করেন পারভীন।
ঘটনার পর চেয়ারম্যান অফিস থেকে বেরিয়ে গেলেও ওই কক্ষেই অবস্থান করেন সদস্য পারভীন আক্তার। পরে খবর পেয়ে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নাছিমা জামান ববি, পারভীন আক্তারের স্বামী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহীনুর রহমান সোহেলসহ বেশ কিছু গণমাধ্যমকর্মী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে পারভীন আক্তার তাদেরকে বিষয়টি অবহিত করেন।
ঘটনার সময় উপস্থিত রংপুর জেলা পরিষদের সদস্য আবুল কাশেম বলেন, দু’জনেই অশালীন ভাষায় একে অপরকে গালাগাল করেছেন। জেলা পরিষদের অপর সদস্য সিরাজুল ইসলাম প্রামাণিক বলেন, চেয়ারম্যান এর আগেও পরিষদের সদস্যদের সাথে অশালীন আচরণ করেছেন। আমরা সবাই সদস্যদের সাথে বৈঠক করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবো।
এ বিষয়ে রংপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছাফিয়া খানমের সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি বলেন, পারভীন আক্তার যে অভিযোগ করেছেন তা সঠিক নয়। সেখানে কিছুই হয়নি। আমি যথানিয়মে অফিস থেকে সাড়ে ৫টায় বের হয়ে আসি। আমি আসার পর পারভীন যে অভিযোগ করেছেন তা হয়তো পূর্বপরিকল্পিত। কাপড় ছেঁড়ার ঘটনা ঘটেনি।
এ দিকে এ ঘটনা নিয়ে মঙ্গলবার দিনভর উত্তেজনা চলছিল জেলা পরিষদ চত্বরে। উভয়পক্ষই বিপুল নেতাকর্মী নিয়ে পরিষদ চত্বরে অবস্থান নেয়। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাটি ছিল মঙ্গলবার টক অব দ্য সিটি।


আরো সংবাদ



premium cement