২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`
জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সভায় বক্তারা

আন্দোলন ছাড়া সরকারের পতন ঘটানো যাবে না

-

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, রাজপথে আন্দোলন ছাড়া সরকারের পতন ঘটানো যাবে না। এজন্য ২০ দলসহ গণতান্ত্রিক সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে শিগগির আন্দোলনে নেমে পড়তে হবে। এ আন্দোলনের মাধ্যমেই বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।
গতকাল জাতীয় প্রেস কাব মিলনায়তনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে ‘সঙ্কটের আবর্তে বাংলাদেশ ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় জাতীয় নেতারা এ কথা বলেন। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। ঢাকা মহানগর জমিয়তের আহ্বায়ক মুফতি জাকির হোসাইন খানের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক ছিলেন জমিয়তের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস। মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ আরমানের সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তৃতা করেন জাতীয় পার্টির (জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, জমিয়তের নির্বাহী সভাপতি মাওলানা মনছুরুল হাসান রায়পুরী, সহসভাপতি মাওলানা গোলাম রহমান, মহাসচিব মুফতি শেখ মুজিবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, মাওলানা আব্দুল মালিক চৌধুরী, ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমদ মনি, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, লেবার পার্টির মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী, এনডিপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর হোসেন ঈসা, খিলগাঁও বিএনপির সভাপতি ইউনুস মৃধা প্রমুখ।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, সরকারের পতনের জন্য কোনো সহিংস আন্দোলনের প্রয়োজন হবে না। এজন্য জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনই যথেষ্ট। ২০ দলের পাশাপাশি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী সব দলকে নিয়ে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে যাতে আন্দোলন না হয় সেজন্য মামলা-গ্রেফতার শুরু করেছে। সভা-সমাবেশ থেকে ফেরার পথে নেতাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, যা রাজনৈতিক বেয়াদবি ছাড়া আর কিছুই নয়। নজরুল বলেন, বর্তমান সঙ্কট থেকে মুক্তির একমাত্র পথ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা। যেটি আনতে বর্তমান সরকারই হরতাল, জ্বালাও পোড়াও করে মানুষ মেরেছিল। তখন এ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে ছিল না। অথচ এখন সংবিধানের কথা বলা হচ্ছে।
মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস বলেন, রক্ষীবাহিনী দিয়ে মানুষের কণ্ঠ রোধ করার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু লাভ হয়নি। এখন আবার পুলিশ বাহিনী দিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন বন্ধ করার চেষ্টা হচ্ছে। সারা দেশে ধরপাকড় শুরু হয়েছে। এতেও লাভ হবে না। তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, অবিলম্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে আনুন। ইভিএম দিয়ে চুরির চিন্তা বাদ দিন। নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন এবং সংসদ ভেঙে দিয়ে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে আর টালবাহানা করার কোনো সুযোগ নেই। জনস্রোতের বিরুদ্ধে গিয়ে কিছু করতে চাইলে তা বুমেরাং হতে পারে বলে কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি। সভায় নেতারা অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার দাবি জানান।


আরো সংবাদ



premium cement
বস্ত্র-পাট খাতে চীনের বিনিয়োগ চায় বাংলাদেশ জামালপুরে সাব রেজিস্ট্রারকে হত্যার হুমকি মামলায় আ’লীগ নেতা গ্রেফতার গাজায় অনাহার যুদ্ধাপরাধ হতে পারে : জাতিসঙ্ঘ ‘প্রত্যেককে কোরআনের অনুশাসন যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে’ মতলব উত্তরে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের শেষ ধাপের পরীক্ষা শুক্রবার লম্বা ঈদের ছুটিতে কতজন ঢাকা ছাড়তে চান, কতজন পারবেন? সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করলেন ভুটানের রাজা জাতীয় দলে যোগ দিয়েছেন সাকিব, বললেন কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই কারওয়ান বাজার থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে ডিএনসিসির আঞ্চলিক কার্যালয় এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন : প্রধানমন্ত্রী

সকল