২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রোহিঙ্গা বিতাড়নে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আইসিসির রুলিং চায় বাংলাদেশ : স্পিকার

-

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ সার্বজনীন রোম সনদের গুরুত্বকে স্বীকার করে এবং আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের সকল ল্য অর্জনে অব্যাহতভাবে সমর্থন করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, অন্যায়, অবিচার ও বৈষম্যহীন বিশ্ব গড়তে বাংলাদেশ দৃঢ়প্রত্যয়ী। অপরাধীদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে বিশ্ববাসীর সাথে বাংলাদেশ সহযাত্রী হবে। তিনি মিয়ানমারের রাখাইন থেকে রোহিঙ্গাদের বিতাড়নের মাধ্যমে সীমান্তে যে সঙ্কট তৈরি করা হয়েছে সে বিষয়ে বাংলাদেশ হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) রুলিং প্রত্যাশা করছে।
গতকাল সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার নেদারল্যান্ডসের হেগে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টে এনডিউরিং ভেল্যু অব দ্য রোম স্ট্যাটিউট টু হিউম্যানিটি শীর্ষক সিম্পোজিয়ামে বক্তৃতাকালে স্পিকার এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে রোম সনদের প্রেসিডেন্ট ও গোঁ কোয়ান, আইসিসির প্রেসিডেন্ট চিলি ইবো ওসুজি এবং আইসিসির প্রসিকিউটর মিজ ফাতো বেনসৌদা বক্তৃতা করেন।
স্পিকার বলেন, এই সিম্পোজিয়াম কেবলই উৎসব নয় বরং মানবতা লঙ্ঘনের অপরাধের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফরম। তিনি বলেন, বাংলাদেশ গর্বিত, কারণ আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত সৃষ্টিতে এবং রোম সনদ গ্রহণের সূচনালগ্নে প্রচার-প্রচারণায় বাংলাদেশ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। বাংলাদেশ সকল প্রকার বিচারহীনতা, যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অঙ্গীকারবদ্ধ।
স্পিকার বলেন, সম্প্রতি বিশ্ববাসী মিয়ানমারে সরকারিভাবে একটি সমৃদ্ধ ও ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিকে ধ্বংস করে দেয়ার মতো হৃদয়বিদারক ঘটনা প্রত্য করল। গত ২৫ আগস্টের পর থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়েছে যার বেশির ভাগই শিশু ও নারী। জাতিসঙ্ঘ ও জাতিসঙ্ঘ মানবাধিকার কমিশন এ ঘটনাটিকে জাতিগত নিধন ও গণহত্যা হিসেবে চিহ্নিত করে বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করে। এখন বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ ও স্থায়ী প্রত্যাবাসনে প্রয়োজন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অব্যাহত ও কার্যকর ভূমিকা।
তিনি বলেন, সক্রিয় সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ আইসিসির কাছে বলপূর্বক রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করানোর কারণে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রুলিং প্রত্যাশা করে। মিয়ানমার আইসিসির সদস্যভুক্ত নয় কিন্তু বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই এ সংক্রান্ত প্রাসঙ্গিক তথ্যাদি আইসিসির প্রি-ট্রায়াল চেম্বার-১ এ উপস্থাপন করেছে। আইসিসির ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে রোম সনদের বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সব সময় পাশে থেকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে।


আরো সংবাদ



premium cement